শীতের মরশুম (Elephant attack) পড়ার আগেই হাতির নজর পড়েছে ধান ক্ষেতে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছিপড়া জঙ্গলে হাতির সংখ্যা শতাধিক হয়ে গেছে। জানা গেছে বনদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। শীতের মরশুম পড়লে নদী নালার জল শুকিয়ে গেলে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে ধানের চারা রোপনের পর থেকেই হাতির অত্যাচার বেড়ে যায় লোকালয়ে। তাছাড়া সারা বছর ধরে জঙ্গল থেকে হাতি বেরিয়ে লোকালয়ে এসে চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটায়। এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে বেশ কয়েকটি। মহাকাল গুড়ির বাসিন্দারা আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন হাতির ফসল নষ্টের দরুন। রবিবার মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকলা স্কুলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ঝাড়ি খড়িয়ার রান্নাঘর ভেঙ্গে দেয় হাতির পাল। তাছাড়া বেশ কয়েকজনের ধানক্ষেত খেয়ে যায় হাতির পাল। বাঁশ বাগান সুপারি বাগান ভেঙ্গে দেয় হাতি। বনদপ্তরের কর্মীরা সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই ওই এলাকায় থাকলেও হাতির পাল হামেশাই ঢুকে যাচ্ছে লোকালয়ে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জার দেবাশীষ মন্ডল জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে আবেদনের ভিত্তিতে।
Elephant attack: পুজার প্রাক্কালে হাতির হানা অব্যাহত ,ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা
রিপোর্ট : মলয় দেবনাথ , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার