শুক্রবার , ডিসেম্বর 13 2024
Breaking News

lakshmi puja: ভালো ফসলের আশায় ক্ষেতি লক্ষ্মীর আরাধানা

রিপোর্ট : সুকুমার রঞ্জন সরকার , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার

lakshmi puja: ভালো ফসলের আশায় ক্ষেতি লক্ষ্মীর আরাধানাকোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর (lakshmi puja)দিনে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা যে  লক্ষ্মী পুজো করেন তা ক্ষেতি লক্ষ্মী পুজো নামে পরিচিত। ক্ষেতি লক্ষ্মী হলেন শস্যের দেবী। জমিতে ভালো ফসলের প্রার্থনা জানিয়ে এদিন এই পুজো হয়। তবে প্রবীণরা জানান আগে জমিদার বা জোতদারদের বাড়িতেই এই পুজো হতো। এখন জমিদার বা জোতদাররা নেই। ক্ষেতি লক্ষ্মীর পুজোর সংস্কৃতিকে তাই আগলে রেখেছেন রাজবংশী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাধারন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনে ভোরবেলা থেকেই গৃহবধূরা বাড়িঘর পরিষ্কার করে গোবরজল দিয়ে কাঁচা ঘর ও বাড়ির উঠোন লেপাপোঁছা করেন। পুরুষরা পুজোর ফুল বেলপাতা, কলাপাতা, দূর্বা, তুলসীপাতা সহ অন্যান্য পুজোর সামগ্রী সংগ্রহ করেন। বাড়ির বাইরে টিন, খড় বা পাটকাঠি দিয়ে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মন্ডপ।। মন্ডপের তিনদিক বেড়া দিয়ে বন্ধ করে সামনের দিক খোলা রাখা হয়। এরপর বাড়ির সকল সদস্যরা স্নান সেরে অস্থ্যী মন্ডপে ক্ষেতি লক্ষ্মীর পুজোর সামগ্রী সাজান। এই পুজোয় কোনো প্রতিমা নেই। জমি।থেকে তুলে আনা শিকড় সুদ্ধ ধানগাছের গোছাকেই বেদীতে লক্ষী দেবী রূপে স্থাপন করা হয়। তারপর লক্ষ্মী সহ শিব, দূর্গা, কালী, কৃষ্ণ ও বলরামের পুজো করেন অধিকারী বা পুরোহিত। সন্ধ্যায় বাড়ির পুরূষরা ধান ক্ষেত বা অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে প্রদিপ জ্বালিয়ে ভালো ফসলের প্রার্থনা জানান ক্ষেতি লক্ষ্মী দেবীর কাছে। রাজবংশী সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রবীন কৃষক জানান এই প্রথা নবীন প্রজন্ম কতটুকু ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে তারা সন্দিহান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।