সোমবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীর বাহা হাঁসদা। এদিন প্রধান মুখ্য বনপাল দেবর রায় কে সঙ্গে নিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করলেন। গত রবিবার পাহাড়ের অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পাহাড়ের জল ডুয়ার্সে নেমে এসেছে। এর ফলে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতির দরুন জঙ্গল সাফারি বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটকরা আটকে রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা শুরু করল পে লোডার দিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা। পর্যটনের মর্ষম শুরু হয়েছে এরই মধ্যে বিধংসী বন্যায় জলদাপাড়ার একশৃঙ্খ গন্ডারের আবাসভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে । পর্যটন কেন্দ্রগুলি জনশূন্য হয়ে গেছে। অলং নদী প্রবল স্রোতে একমাত্র কাঠের সেতু ভেসে গেছে। হাতি সাফারির টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে জঙ্গল সাফারি। সোমবার রাজ্যের বনমন্ত্রী বীর বাহা হাঁসদা বলেন যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করে জঙ্গল সাফারি চালু করা হবে। বন্যায় কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমরা মূল্যায়ন করছি। তোর্সা এবং শিসা মারা নদীর জল ইতিমধ্যেই নেমে গেছে। কৃষি জমি থেকে শুরু করে বন্য জন্তুর ঘাসের জমি পলি দিয়ে ঢেকে গেছে। বেশকিছু জায়গায় ডলোমাইট করেছে। পলির পরিমাণ ৫ থেকে ৬ ফুট। এদিন ১২৮ জন পর্যটককে নিরাপদে শরিয়া না হয়েছে। বিশ জন পর্যটককে এ লোডারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে তিনটি গন্ডার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বনদপ্তর এর কর্মীরা কুনকি হাতি ব্যবহার করে গন্ডার গুলিকে জঙ্গলমুখো করার চেষ্টা করছেন। মন্ত্রী হাজদা শেষে বলে গেছেন ভেসে যাওয়া সেতু পুনঃনির্মাণ এবং সাফারি পুনরায় শুরু করায় তাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করি পর্যটকরা খুব শীঘ্রই জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন।
Alipurduar: বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বনমন্ত্রী
রিপোর্ট : মলয় দেবনাথ , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার