Murshidabad: মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে দেদার বিকোচ্ছে লক্ষ্মীর চরণের স্টিকার ,আলপনার রীতি ভুলেছে বাঙালি

প্রতিবছর বিজয়া দশমীর পরবর্তী সময় থেকেই বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায় আলপনার বিভিন্ন সুন্দর স্টিকার।তবে একটা সময় বাঙালির পুরনো ঐতিহ্যছিল লক্ষ্মী পুজোরসময় বাড়িতে খড়ি মাটি কিংবা চালের গুঁড়োর আলপনা দেওয়া সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আধুনিকতার ছাপ গ্রাসকরেছেপুরনোঐতিহ্যকে। দুর্গাপুজোর শেষ হওয়ার পর বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো করা হয়ে থাকে পূর্ণিমার পূর্ণলগ্নে এই পুজোয় ব্রতী হতে দেখা যায় প্রত্যেকটি বাঙালি পরিবারকে লক্ষ্মী পুজোর রাত জেগে আলপনা দেওয়াও বিভিন্নধরনেরনাড়ুতৈরিকরাআজকেপ্রায়অনেকটাইকমেএসেছেআধুনিকতারছোঁয়ায়।মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, কান্দী, বেলডাঙা বাজার এলাকায় বিক্রিহতে দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মী পুজোর আলপনা থেকে শুরু করে লক্ষ্মী মায়ের পায়ের ছাপের স্টিকার একটা সময় রাত জেগে বাড়ি জুড়ে আলপনা দিতে দেখা যেত বাঙালি পরিবারের বাড়ির  ছোটদের এবং বউদের তবে বর্তমানে আধুনিক তার চাপে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে সেইরীতিও ঐতিহ্য তবে এখনোও গুটি কয়েক বাঙালি পরিবারে সেই ঐতিহ্যলক্ষ্য করা যায় তবে এই প্লাস্টিকস্টিকার সময়ের ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে তবে এইস্টিকার ব্যবহারের ফলে পুরনো সময়ের আলপনা দেওয়ার রীতি-প্রথা এবং ঐতিহ্য যে ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে তাচিন্তার কারণহয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের। বহরমপুর নতুন বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ স্টিকার বিক্রেতা বলেন, “কয়েকবছর আগে পর্যন্ত প্লাস্টিকস্টিকার এরখুব একটা চাহিদা ছিলনা। তবেবর্ত মানে প্রত্যেকটি পরিবার ছোট হয়ে আসার কারণে সময়ের ব্যবহারক মাতেমানুষেরা প্লাস্টিকস্টিকার লাগাতে বেশি পছন্দকরেন। আলপনা দেওয়ার রীতিঅনেকটাউঠেইগিয়েছে।বেশির ভাগ মানুষ এখন প্লাস্টিক আলপনা এবং প্লাস্টিকের লক্ষী মায়েরছাপের স্টিকার ব্যবহার করেন। নিজের বাড়ির লক্ষ্মী পুজোর সময়।” স্টিকারের দোকানের একজন ক্রেতা বলেন, “বাড়িতে লোকজনের সংখ্যাকম।তাই আলপনা দিতে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়।স্টিকার আলপনা ব্যবহার করলে সেসময়ের ব্যবহার অনেকটাই কমেযায়।চটজলদি স্টিকার আলপনালা গিয়েদ্রুত কাজশেষ করাসম্ভব।”