২১শে জুলাই ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশের আগে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন তিনি সভাস্থলে পৌঁছনের আগে ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনিতে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। এরপর দুপুর ২.৩০ নাগাদ ধূপগুড়িতে পৌঁছান তিনি।২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে এদিন কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। সভা শুরুর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি ,আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় আশানুরূপ ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমল । উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবির জন্য এদিনের সভা মঞ্চ থেকে কার্যত নিজের দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদোর ও কোচবিহারের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য দ্বার খোলা রেখেছে, কিন্তু আমাদের নেতারা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না। শুধু চার চাকা গাড়িতে করে ঘুরলে চলবে না , দরকারে পায়ে হেঁটে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছতে হবে এই ভাষায় কার্যত ধমক দিয়েছেন জেলার নেতাদের। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারী করলে তৃণমূল কংগ্রেস করা যাবে না। এমনকি স্থানীয় নেতা ও জেলা পরিষদ, পৌরসভা, পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে সাধারণ মানুষ যাতে সরাসরি তাকে জানায়। সেজন্য এদিনের সভামঞ্চ থেকে একটি যোগাযোগ নম্বর দেন তিনি। অভিযোগ জানানোর নম্বরটি হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ ।বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ বলে আলাদা কিছু নেই ,একটাই বঙ্গ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ।পাশাপাশি এদিন বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেন অভিষেক।সভা শেষে সভা মঞ্চ থেকে পায়ে হেঁটে ধূপগুড়ি শহরে জনসংযোগ করেন। দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায় তাকে। তবে কি স্থানীয় নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে অভিষেক তথা তৃণমূল কংগ্রেস! সেই কারণে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে স্বয়ং পথে নামলেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
Abhishek Banerjee Dhupguri: হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ধূপগুড়ির সভামঞ্চ থেকে দলীয় নেতাদের ধমক অভিষেকের
রিপোর্ট : রাজীব মুখার্জী , এই যুগ, জলপাইগুড়ি