শনিবার , সেপ্টেম্বর 21 2024
Breaking News

Birbhum: চিকিৎসায় গাফিলতে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ বীরভূমে

রিপোর্ট : দিব্যেন্দু গোস্বামী , এই যুগ, বীরভূম

Birbhum: চিকিৎসায় গাফিলতে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ বীরভূমে
birbhum-students-death-due-to-medical-negligence-in-birbhum-west-bengal-india-ei-yugচিকিৎসায় গাফিলতি আর তাতেই প্রাণ গেল ইমদাদুল হক নামে ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের । বীরভূমের সেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল ইমাদাদুল হক পড়াশোনায় খুব যে খারাপ ছিল তা পাড়া-প্রতিবেশী সমর্থন করে না । তবেই অনেকেই জানিয়েছে বর্তমানে সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। যার ফলে তার শেষ পরিণতি মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুর মহকুমার ইলাম বাজার থানার পাইকোনিতে। ঘটনায় প্রকাশ গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল ইমদাদুল হক ।প্রথমদিকে তার আত্মীয়রা স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মত বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটার ফলে তাকে নিয়ে আসা হয় বোলপুরের সিয়ান হসপিটালে। সেখানেও কয়েক দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ছিল সে। চিকিৎসা করছিলেন যিনি সেই চিকিৎসক পরামর্শ দেন ইমাদাদুল হক যথেষ্ট শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে তার রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম যার ফলে তাকে ভালো কোন হাসপাতালে ভর্তি করানো দরকার। সেই মতো তার পরিবার তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে অনন্যা মাল্টিসুপারস্পেশালিট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমেই তার শারীরিক অবস্থা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তাকে আইসিইউ তে রাখা হয়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ চিকিৎসায় কোন ত্রুটি রাখেননি তারা। ডাক্তারের কথামতোই আই সি ইউ তে রাখার চিকিৎসা পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় হাসপাতাল ।কারণ রোগীর অবস্থা তখন যথেষ্ট খারাপ ছিল ।এর কয়েক ঘণ্টার পর চিকিৎসক পরিবারের লোকজনকে জানাই ইমাদাদুল হক ভালো আছে এবং তাকে সাধারণ বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ভোর পাঁচটা নাগাদ পরিবারের লোকজন সাধারণ বেডে এসে দেখে রোগীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। শুধু তাই নয় এখানে অক্সিজেন বা সেলাইনের কোনরকম বন্দোবস্ত করা হয়নি ।এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ইমা দাদুল হকের। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তার আত্মীয় পরিজনরা। নিজেদের সামলে রাখতে না পেরে চিকিৎসক কে মারধর করা হয় এবং অনন্যা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের নিচের তলা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যদিও আত্মীয়-স্বজন যারা ছিলেন তারা পুলিশে অভিযোগ না করলেও। ভীত সন্ত্রস্ত ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর স্থানীয় থানায় খবর দেয়। রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে প্রতিবেশীদের মধ্যে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বোলপুর জুড়ে মাত্র 23 বছর বয়সে এইভাবেই একটার পর একটা হাসপাতালে ঘুরে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে ইমাদাদুল হকের। পরিবারের লোকজন কেউই এখনো পর্যন্ত বিশ্বাস করতে চাইছে না যে তাদের প্রিয় 23 বছর বয়সী ইমাদাদুল হকের মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনায় চোখে আঙুল দিয়ে আবারো পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভারতবর্ষে মধ্যে কতটা উন্নতি না অবনতি করেছে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়তো করবেন স্বাস্থ্য দপ্তর। এর প্রশ্ন বান থাকলেও রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই ইলামবাজারের ঘটনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।