বারবার বঞ্চিত সিউড়ি , কচুজোর, চিনপায়, দুবরাজপুর, প্রভৃতি অঞ্চলের মানুষজন। স্তব্ধ হয়েছে রেলের চাকা। আর তাতেই অসন্তুষ্ট ওই সমস্ত স্টেশনের যাত্রীরা। রেলের তরফ থেকে অন্ডাল রেলওয়ে স্টেশনে নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য ২৫ শে নভেম্বর থেকে ২৯ শে নভেম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে ট্রেন। যার ফলে ওই সমস্ত স্টেশনের যাত্রীরা পড়েছেন অসুবিধায়। অসুবিধা কবে দূর হবে তারও সঠিক বার্তা দিতে পারেনি রেলওয়ে দপ্তর। দুমকা হাওড়া ময়ুরাক্ষী এক্সপ্রেসের যাত্রা পথ ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। অন্ডাল-সাঁইথিয়া ট্রেনটি যদিও কাজোড়া স্টেশন পর্যন্ত এসে তারপরেই তার অভিমুখ পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তি বেড়েছে সিউরি সহ দুবরাজপুরের একাধিক রেল যাত্রীর। প্রায় কয়েক দশক আগে গনি খান চৌধুরী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখনই ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। পরবর্তী কালে আর কোন দূরপাল্লার যাত্রী বোঝায় ট্রেন সিউড়ি র থেকে কলকাতার যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সিউড়ি শিয়ালদা ট্রেন কয়েক মাস আগে ঘটা করে উদ্বোধন করে যাত্রীদের সুবিধার্থে রেল দপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সেটিও এখন বন্ধ। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদেরকে। যাত্রী বোঝায় ওই সমস্ত ট্রেন কবে থেকে চালু হবে তার সদুত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। রেল যাত্রীদের অভিযোগ ওই সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন যেগুলিতে মানুষ নিত্য দিনের কাজ সারতে কলকাতা রওনা দেয়। তাদের কাজ থমকে রয়েছে। অনেকেই ফেরত যাচ্ছে। তাদের দাবি সাঁইথিয়া থেকেও যদি কোন ট্রেনের ব্যবস্থা করা হতো তাহলেও অনেকটাই হয়রানির অবসান ঘটতো। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কলকাতা গামী কিম্বা সিউড়ি গামী বাসগুলিতে চেপে রওনা দিচ্ছেন। ফলে ভিড় বাড়ছে ওই সমস্ত বাস গুলিতে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই আর কতবার পূর্ব রেলের নতুন করে লাইন মেরামতির কাজ চললেও তা স্বাভাবিক হবে? এই নিও মুখ খুলেছে সাধারণ যাত্রীরা। তাদের আরো দাবি অনেক কষ্টে সিউড়ি শিয়ালদা গামী ট্রেনটির ওপর নির্ভর করে থাকে যাত্রীরা। সেখানে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। গণপরিবহনের সাধারণ মানুষের যে চাহিদা সেই চাহিদা অনুসারে কবে থেকে চালু হবে ট্রেন? সেই দিকেই তাকিয়ে সাধারণ যাত্রীরা।
স্তব্ধ রেল চলাচল বিপাকে বীরভূমের ট্রেন যাত্রীরা
রিপোর্ট : দিব্যেন্দু গোস্বামী, এই যুগ, বীরভূম