মাঝেরডাবরির (Alipurduar) তৃণমূল নেতাকে ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার করার পর আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পাঠিয়েছে শামুকতলা থানার পুলিশ মঙ্গলবার বেলা দুটা নাগাদ। আদালত থেকে তাকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জানিয়েছেন শামুকতলা থানার ওসি জগদীশ রায়। পঞ্চাশ গ্রামেরও বেশি ব্রাউন সুগার সহ সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মাঝের ডাবরি এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু রায়কে। তার স্ত্রী লিপিকা রায় শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যা মাঝেরডাবড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের। বিষ্ণু রায় মাঝেরডাবরি পশ্চিম এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তার বাড়িতেই রয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। বিষ্ণু রায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী । কালিয়াচকের যুবক চন্দন মন্ডল তাকে ব্রাউন সুগার সরবরাহ করত। আর সেই ব্রাউন সুগার বিষ্ণু রায় এলাকায় বিক্রি করতেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে উৎ পেতে দাঁড়িয়েছিল শামুকতলা থানার পুলিশ। সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার করে বিষ্ণু রায়কে শামুকতলা থানার পুলিশ। কালিয়াচক এলাকার যুবক চন্দন মন্ডলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে ছয়টি সাইকেল এবং একটি টোটো। প্রশ্ন উঠেছে সাইকেলের মালিক গুলো কারা ? কেন এত রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি সাইকেল ছিল । এই ব্যবসার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত আছেন তাই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে পুলিশের কাছ থেকে। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা নজর রাখছেন মাঝেরডাবড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সূত্রের খবর মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ব্যবসার সঙ্গে কারা যুক্ত আছেন এবং কারা এই নেশায় অভ্যস্ত তাই নিয়ে রীতিমতো তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। বিষ্ণু রায় এবং চন্দন মন্ডল এর মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ । স্বাভাবিক ভাবেই কাদের সঙ্গে এই দুজনের যোগাযোগ ছিল তার হদিশ সহজেই করতে পারবে পুলিশ। শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর কপালে ভাজ পড়েছে শাসকদলের অনেক নেতার। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম পোষ্ট শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের অনেক নেতা। অঞ্চল সভাপতি বিষ্ণু রায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর নানা রকম প্রশ্ন উঠে আসছে দলীয় কর্মীদের মুখ থেকেও । এদিন শামুকতলা রোড পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী সহ ছেলেমেয়েরা। কালিয়াচকের যুবক চন্দন মন্ডল এর কাছ থেকে যারা গেছে পঞ্চাশ গ্রাম ব্রাউন সুগার ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতেন তিনি বিষ্ণু রায়ের কাছে। ৫০০০০ টাকা দিয়ে তিনি কিনে এনেছেন। ১০ হাজার টাকা তার লাভ হতো। যদিও এই ৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার এখানে বিক্রি হতো লক্ষাধিক টাকার উপরে। এর আগেও কালিয়াচকের যুবক বিষ্ণু রায় কে ব্রাউন সুগার দিয়ে গেছেন। ট্রেনে করে ব্যাগের ভিতর নিয়ে আসতেন এই ব্রাউন সুগার ।
Alipurduar: ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতার ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত
রিপোর্ট : মলয় দেবনাথ , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার