পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Alipurduar) উদ্যোগে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পে নির্মিত ঘরের জানালার গ্রীলে আটকে মৃত্যু হলো এক চা শ্রমিকের।(Alipurduar) জানা গেছে শুক্রবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার ঢেকলাপাড়া চা বাগানে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।মৃত শ্রমিকের নাম অমরজিত ওঁরাও। (Alipurduar) এদিন রাতে অমরজিত প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার জন্য ঘরের বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখেন বাইরে বেরোনোর দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ।
তালা খুলে দেবার জন্য তিনি প্রতিবেশীদের চীৎকার করে ডাকতে থাকেন। কিন্তু গভীর রাতে তার চীৎকার কেউ শুনতে পায়নি। তখন অমরজিত জানালায় লাগানো গ্রীলের আট ইঞ্চি ফাঁক গলে বাইরে আসতে চান আর সেই ফাঁকে আটকে যায় তার দেহ। শনিবার সকালে চা বাগানের পাম্প অপারেটর স্বপন কাজে যাবার সময় অমরজিত কে ওভাবে ঝুলতে দেখে চীৎকার করতে শুরু করেন। তার চীৎকারে অন্যান্য শ্রমিকরা ছুটে এসে হাতুড়ি দিয়ে লোহার গ্রীল ভেঙ্গে অমরজিতকে বের করেন।
ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে এই চা শ্রমিকের। শ্রমিকরা জানান ঘরগুলিতে ঢোকা ও বাইরে বেরোনোর জন্য একটাই দরজা। এই কারনে তিনশ সাতাশটি ঘরের মধ্যে সত্তরটি ঘর শ্রমিকরা নিতে অস্বীকার করেন। আর এই সত্তরটি ফাঁকা ঘর হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতিদের আস্তানা। এদিন রাতেও দুষ্কৃতি ফুলচাঁদ ওঁরাও অমরজিতের ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে ফাঁকা ঘরগুলির বেসিন লাইট সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি করার তালে ছিল। এর আগেও এই দুষ্কৃতি চুরির দায়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলো বলে জানা গেছে। তার থেকেই এদিন অমরজিতের ঘরের বন্ধ তালার চাবি উদ্ধার করে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চা সুন্দরী প্রকল্পে নির্মিত ঘরগুলির নকশা নিয়ে শ্রমিকরা সরব হয়েছেন। মৃত অমরজিতের দেহ পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।