শনিবার , সেপ্টেম্বর 21 2024
Breaking News

Chikkamagaluru karnataka: চিকমাগলুর ভ্রমণ কাহিনী

, কর্ণাটক

ঘুরে এলাম পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ভাজে অবস্থিত চিকমাগালুর। দীর্ঘ দিনের কভিড পর্ব শেষে বেঙ্গালুরু তথা কর্ণাটক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কমেছে রাজ্য অতিক্রম করে ঘুরতে যাওয়ার হ্যাপা।যদিও কর্নাটকের বেশ কিছু অঞ্চল এখনো দৃঢ়ভাবে নজরে রাখা হয়েছে, যেমন কুরগ বা মাদিকেরি। তবে মৌসুমী বায়ুর আগমনের সাথে সাথে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এক অপরূপ রূপ ধারণ করে। সেই দৃশ্য দাপটের সাথে পাল্লা দিতে পারে হিমালয়ের দুর্গম পাস গুলির সাথে। বর্ষাকালের সেই মনমোহনী রূপ চাক্ষুষ করব আর সেই সাথে কিছুদিন শহর থেকে দূরে থাকবো এই আশা নিয়ে আমরা চারজন প্রাপ্তবয়স্ক আর একটি খুদে মানুষ বেরিয়ে পড়েছিলাম এক ভোর বেলায়। সাথে একটি ইনোভা গাড়ি, সভারী রেন্টাল থেকে ভাড়া নেওয়া। আমাদের গন্তব্য ছিল আদ্রিকা হোটেল। চিকমাগালুর একটি ছোট টাউন, কাছাকাছির মধ্যে বড় শহর হল হাসান। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, বাঙালোরে যত বড় বড় রুই কাতলা পাওয়া যায় সব কিন্তু আসে হাসান নদী বাঁধের থেকে।
চিকমাগালুর টাউনে দুটি রাস্তা। একটি সাধারণত একমুখী হয়ে থাকে। রাস্তার ধারে সারি সারি দোকান, সিল্ক শাড়ি, কফি, ফিল্টার কফি মেশিন, দোসা ক্যান্টিন, আর দু-চারটি নতুন ধরনের ক্যাফে এই নিয়েই টাউনটি তৈরি। দেখেই বোঝা যায় টুরিস্টরা ফিরে আসার জন্য দোকান গুলি আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে এসেছে। আদ্রিকা হোটেলের পাশে ব্যাঙ্গালোর থেকে আসা লাল রঙের সরকারি স্টেট বাস গুলি দাঁড়িয়ে থাকে। তবে হোটেল থেকে ভিউ বলতে সেরকম কিছু নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোটেল, বেশ বড় রুম, ইন্টারনেট খারাপ নয়, আর প্রধান সুবিধা হল বাজার একদম হাতের কাছে।মেঘ ঝরনা কফি বাগান মন্দির এই সমস্ত পেরিয়ে আপনি যখন পাহাড়ের চূড়ার কাছাকাছি একবার গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিন। একটুখানি নেমে দেখুন সুদূর উপত্যকা, বিঘার পর বিঘা জমি ঘনসবুজ জঙ্গলের ঢাকা। যদি ভাগ্যবান হন এই জঙ্গলে দেখা হয়ে যেতে পারে বাঘ বা হাতির সাথে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কর্নাটকে কিন্তু সবথেকে বেশি বাঘ থাকে পুরো ভারতবর্ষের মধ্যে। হ্যাঁ মানে আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
এই পাহাড়ের চূড়া তে একজন সুফি সাধকের কবর রয়েছে। ধর্ম নির্বিশেষে বহু মানুষ এখানে আসেন মানত পূরণ করতে । তবে আমাদের কপাল খারাপ। রাস্তায় শুরু হল তুমুল বৃষ্টি। আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হলাম। তবে সেই অসাধারণ দৃশ্য কিছুটা হলেও আমি ভিডিও ক্যামেরা তে ক্যাপচার করেছি।চিকমাগালুরে সাধারণত দুই ধরণের মানুষ গিয়ে থাকেন। একদল অত্যন্ত অলস, যেমন আমরা। দিনে দু ঘন্টা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করে কতক্ষণে হোটেল রুমে ফিরে আসা যায়। আর এক দল যারা ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন। পছন্দ করেন পাহাড়ের ধারে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত দিবসে প্রকৃতিকে দুচোখ ভরে উপভোগ করতে। সবশেষে বলে রাখি এই জায়গায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনার মনে চিরকালের জন্য ছাপ রেখে যাবে I বারে বারে মন চাইবে এখানে ফিরে আসার জন্য I

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।