২০১৭ সালে ভেঙে পড়া মহারানী গায়েত্রী দেবী মহাবিদ্যালয়কে (CoochBehar) ভেঙে চার তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হ্যারিটেজ কমিটি। (CoochBehar) সেই বিল্ডিং নিচের তলায় মহারানী গায়েত্রী দেবী মহাবিদ্যালয়, উপরের তল থাকবে আর্ট গ্যালারি, তার উপরে তলায় থাকবে নাট্য চর্চা কেন্দ্র এবং চারতলায় তলায় থাকবে একটা অডিটোরিয়াম।(CoochBehar) সেই বিল্ডিংয়ের কাজ কিভাবে হবে তার মাপ শুরু করলো কোচবিহার পৌরসভা। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পৌরসভা চেয়ারম্যান তথা হ্যারিটেজ কমিটির সদস্য রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার একজিকিউটিভ আধিকারিক সহ অনেকে।
এদিন এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কোচবিহারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি কোচবিহারে একটা আর্ট গ্যালারি হোক। কোন কারনে সেই আর্ট গ্যালারি হয়নি। এবার আমরা আবার পুনরায় চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে এটা হেরিটেজ কমিটিতে পাশ হয়েছে। এবং আরবান ডিপার্টমেন্ট সম্মতি দিয়েছে। এখানে মহারানী গায়ত্রী দেবীর মহাবিদ্যালয়ের একটি ছোট জায়গা রয়েছে। ওটাও হেরিটেজের আন্ডারে রয়েছে। যেটুকু জায়গা রয়েছে তাতে কোন বিল্ডিং হয় না।
তাই আমরা লিখিত দিয়েছি যে বাকি জমিটুকু পৌরসভা দেবে। সেইটা আমরা মাপ যোগ করছি এবং কতটুকু লাগবে তা দেখছি। মহারানীর গায়েত্রী দেবীর মহাবিদ্যালয়ের ২৫ ফুট জায়গা রয়েছে। আমরা ১৫ ফিট দিলে ৩৮ থেকে ৪০ ফুট হবে। লম্বা ৯০ ফুট হবে। সেখানে জি প্লাস থ্রি একটি বিরাট বিল্ডিং হবে। নিচের তলায় মহারানী গায়েত্রী দেবী মহাবিদ্যালয় থাকবে, উপরের তল থাকবে আর্ট গ্যালারি, তার উপরে তলায় থাকবে নাট্য চর্চা কেন্দ্র এবং চারতলায় তলায় থাকবে একটা ছোট অডিটোরিয়াম। সেখানে ২০০ থেকে ২৫০ সিটের ব্যবস্থা থাকে। সেখানে নাট্যপ্রেমী,সঙ্গীত প্রেমীরা নানা অনুষ্ঠান করতে পারবে। এটা হলে যে সমস্ত নাটক প্রেমী, সাংস্কৃতিক জগতের মানুষের সুবিধা হবে বলে জানান কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।