পরলোকে পাড়ি (Dhupguri) দিলেন ধুপগুড়ির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় থাকাকালীন হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। (Dhupguri) পরবর্তীতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মৃত্যু হয় বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের।(Dhupguri) অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার টুইটারে লেখেন, কঠোর পরিশ্রমী বিধায়ক ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়।” তিনি আরো লেখেন,”এ রাজ্যে দলকে শক্তিশালী করে তুলতে তার প্রচেষ্টা ছিল উল্লেখযোগ্য।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা টুইটারে লেখেন, “তার এই অকালবিদায় বাংলায় পরিষদীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল।” পাশাপাশি মঙ্গলবার বিধায়কের প্রয়াণে বিধানসভার বাদল অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। বিধায়কের মৃতদেহ বিধানসভা ভবনের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরবর্তীতে মরদেহ বিজেপির কলকাতার সদর দপ্তর মুরলীধর লেনে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও শ্রদ্ধা জানান দলীয়কর্মীরা।বুধবার সকালে মৃত বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় এর মৃতদেহ ধুপগুড়ির সৎসঙ্গ পাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে মৃতদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে যায়। বিজেপি সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় কে।পাশাপাশি ধুপগুড়ির সেন্ট্রাল ডুয়ার্স প্রেসক্লাবের তরফ থেকে সভাপতি ডঃ কৃষ্ণদেব শেষ শ্রদ্ধা জানান।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম জীবনে ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিজেপির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে জয়লাভ করে বিধায়ক হয়েছিলেন। মাত্র ৬১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ধুপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের।