উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের (Dooars) পর্যটন চিত্রে নবতম সংযোজন বাগ্রাকোট লুপ ব্রীজ। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে তৈরি সাতশো সতেরো নম্বর জাতীয় সড়কে দুই লেনের সর্পিল আকারের এই লুপ ব্রীজ দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ভীড় জমাচ্ছেন। যদিও এই ব্রীজ ও সড়ক এখনও জনসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে সিকিম যাবার একমাত্র সড়ক হলো দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়ক মাঝে মাঝেই তিস্তা নদীর ভাঙ্গন ও ধসের কারনে বন্ধ হয়ে যায়। দশ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে সমগ্র বাংলার সাথে স্থলপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সিকিম। তখন স্থল্পপথে সেনা বাহিনীর মালপত্র পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়। তিব্বত সীমান্ত লাগোয়া সিকিম। তিব্বত সীমান্তে মাঝে মাঝেই চীনের আগ্রাসনের ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দশ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় পরিস্থিতি। সেদিক থেকে নতুন এই সড়ক বিকল্প হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলপাইগুড়ি জেলার বাগ্রাকোট থেকে প্রথম আঠারো কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় চৌদ্দ কিলোমিটার রাস্তা পাহাড় কেটে তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে লুপ ব্রীজটি দুভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগটি নয়শো মিটার, দ্বিতীয় ভাগটি চার থেকে পাঁচশো মিটার। গত ছয় বছর ধরে এই সেতু নির্মান কাজ চলছে পয়তাল্লিশ জন মিস্ত্রিও তিন শতাধিক শ্রমিকের তত্বাবধানে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান এই লুপ ব্রীজ ও রাস্তা ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। এটি নির্মান সমাপ্ত হলে লুপ ব্রীজ ও এই সড়ক হয়ে উঠবে অন্যতম পর্যটক আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু।
Dooars: ডুয়ার্সে পর্যটনের নবতম আকর্ষণ বাগ্রাকোট লুপ ব্রীজ
রিপোর্ট : সুকুমার রঞ্জন সরকার , এই যুগ, জলপাইগুড়ি