বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আবহ , ঘর অনেকটাই গুছিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অন্যান্য জেলার মতো হাওড়ার পঞ্চায়েত এলাকায় অনেকটাই এগিয়ে শক্তির বিচারে তৃণমূল। মাঝে মধ্যেই কিছু জায়গায় ছোট ছোট গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেলেও তৃণমূল নেতৃত্ব সেটা যে সামলাতে দক্ষ সেটা বহুবার প্রমানিত । রবিবার বিকেলে হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী যা কিনা আদতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রয়াস বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবির। এই বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে তাঁদেরকে যথেষ্ট সন্মান ও গুরুত্ব দিয়ে দল পরিচালনার বক্তব্য উঠে এলেও তারই সঙ্গে দলের নবীন প্রজন্ম দৃঢ়ভাবে তাঁদের জায়গার কথাও উত্থাপিত করতে দেখা গেলো। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই নবীন প্রবীনের বিরোধ আদতে দলকে শক্তিশালী করবে নাকি দলের সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করবে। যদিও প্রকাশ্যে এই ধরণের কোনো বিরোধকে বিরোধ বলেই মানতে রাজি নয় জেলার শাসক দলের নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদরের তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় জানান তাঁদের মধ্যে মান অভিমান ঝগড়া হলেও তাঁরা এক আছেন। এতে কোনো গোষ্ঠী দ্বন্দের প্রভাব নেই।
তবু খেলার আগে যেমন খেলোয়ারদের সেরা খেলাটা বের করে আনার জন্য আরও ভালো খেলতে হবে বলা হয় এখানেও সেভাবেই নবীন ও প্রবীণদের সঙ্গে নিয়েই ময়দানে নামার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন দলে প্রবীণদের মতোই নবীনরাও সুন্দর। তাঁরা একসাথে কাজ করছেন। শিবপুর বিধানসভার বিধায়ক ও রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারীর বক্তব্যে বারবার দলের প্রবীণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সম্মানের প্রসঙ্গ উঠে এলো ।পাশাপাশি কর্মীদেরকে দলের সম্পদ আখ্যা দিয়ে আগামী পঞ্চায়েত, লোকসভার নির্বাচনে দলকে জিতিয়ে আনার বার্তাও তিনি দেন মঞ্চ থেকে।রবিবারের এই অনুষ্ঠান হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের উদ্যোগে হাওড়া ডুমুরজলা ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সদর অঞ্চলের সাংসদ, মন্ত্রী, সমস্ত বিধায়ক, সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সভাপতি সহ কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। মনোরম পরিবেশে নাচ গানের মধ্যে দিয়ে সমস্ত কর্মী সমর্থকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সম্পন্ন হয় এই বিজয় সম্মিলনী অনুষ্ঠান ।
হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলন
রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া