শুক্রবার সন্ধেয় যুবক খুনের পর থেকেই তপ্ত জগদ্দল। বোমাবাজি অব্যাহত। ঘটনার দিন রাতেই বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে জগদ্দল বাজারের ভেতরে। শনিবার সকালেও পুলিশের উপস্থিতিতে বাজারের মধ্যে দুটি বোমা পড়ে। ফলে ওইদিন দোকানপাট বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকালেও পুলিশের সামনে বাজারের ভেতরে বোমাবাজি হয়। অভিযোগ, এদিন সকালে এক ব্যবসায়ী দোকান খুললে একদল দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় হানা দিয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলে। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জগদ্দল থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালো হয়। অভিযোগ, পুলিশ আরও দুদিন দোকান বন্ধ রাখতে বলেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানদাররা অনাজপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়ে সকাল পৌনে ন’টা থেকে ব্যস্ততম ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। একঘন্টা বাদে পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে দেন। কিছুক্ষন বাদে ডিসি নর্থ শ্রীহরি পান্ডের উপস্থিতিতে দোকানপাট খোলেন ব্যবসায়ীরা। এরপর ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং এসে গোটা বাজার পরিদর্শন করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন, যেই দুটি পকেট থেকে দুষ্কৃতীরা এসে বোমা মারছে। সেই দুটি পকেট সিল করে দিতে। সাংসদ বলেন, ঘটনায় জড়িত একজন ধরা পড়েছে। বাকিরাও ধরা পড়বে। পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Jagatdal: বোমাবাজি ও দুষ্কৃতী তান্ডবের প্রতিবাদে রাস্তায় আনাজ ফেলে পথ অবরোধে সামিল জগদ্দলের ব্যবসায়ীরা
রিপোর্ট : বিশ্বজিৎ নাথ , এই যুগ, ব্যারাকপুর