প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে। রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠেন(Mamata Banerjee) । মঞ্চে ওঠার পরেই দর্শকদের পক্ষ থেকে করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। (Mamata Banerjee) এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি ভাবে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তাছাড়া আলিপুরদূয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর প্রকল্পের শিলন্যাস করেন । এরপরই শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ।
কন্যাশ্রী সবুজশ্রী মেধাশ্রী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় ভাষন শুরু করেন । মুখ্যমন্ত্রী ভাষনের অধিকাংশ সময় চা শ্রমিকদের নিয়েই বলেন । চা শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তা দের হাতে প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন । চা শ্রমিকদের এই প্রথম পাট্টা প্রদান করা হলো মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। আলিপুরদুয়ার জেলার ছয় টা চা বাগানের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার চা শ্রমিক তাদের জমির সত্ব হাতে পেলেন । চা বাগানে হাসপাতাল তৈরী শুরু হয়েছে ।
শ্রমিকদের আবাস যোজনার জন্য এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হবে । আদিবাসী দের জন্য জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের জন্য জেলা শাসককে নির্দেশ দেন । আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ দিনের দুয়ারে সরকার শিবির শুরু করার নির্দেশ দেন। ভুটিয়া বস্তি সরানোর কথা বলেন তিনি। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ১৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
উচ্চ শিক্ষার জন্য টাকার অভাব হবে না । এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় বেশ কয়েকজন অফিসার এর পাশাপাশি মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক উদয়ন গুহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা শাসক আর বিমলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী প্রকাশ চিক বড়াইক স্নিগ্ধা শৈব সুমন কান্জিলাল মৃদুল গোস্বামী গঙ্গা প্রসাদ শর্মা মনোরঞ্জন দে সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ওই মঞ্চে প্রায় ৩৫ মিনিটে ধরে তিনি মঞ্চে ভাষণ দেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রতি ঘরে ঘরে জল পাবেন বাসিন্দারা। তবে এই প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি জয় করার কথাও বলেন । বেলা দেড়টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানারহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।