আয়রে আমার ছোট্ট বেলার খেলার সাথী, এই বর্ষাতে বকুল ফুলের মালা গাঁথী। আয় ছুটে আয় ফিরে যেতে ছোট্ট বেলায়, এই বর্ষাতে উঠোন জুড়ে মাতি খেলায়। আয়রে ছুটে খেলার সাথী দস্যু দলে, এই বর্ষাতে ঝাঁপুর ঝুঁপুর নদীর জলে। আয়রে ছুটে থাকবি মেতে খুব আনন্দে, এই বর্ষাতে বৃষ্টি ঝরে মধুর ছন্দে। বাঁধা আছে সেই সব খেলা স্মৃতির ফ্রেমে, এখনো মোর মনে পড়ে …

স্লেট পেন্সিল নিয়ে আঁকিবুকি করে আমার খুকুমুনি বলতে পারে না অ, আ, ক, খ তবুও করে বই খাতা টানাটানি। বুঝুক না বুঝুক আছে বাহাদুরি মোবাইলটা তার হাতে চাই হাদা ভোঁদার কার্টুন দেখে মুচকি হাসিখানা  দেখতে পাই। পুতুল নিয়ে করে খেলা গাড়ির উপর বসিয়ে সুতোর টানে পড়ে গেলে হাসতে থাকে খিলখিলিয়ে। দূর থেকে সব লক্ষ্য করি দেখি তার দুষ্টুমি নজরে আসলে …

কদমের বনে আজ মুখরিত ধারা মৃদু হাওয়া শ্রাবনের আহা মনোহরা! দিকে দিকে শনশন শব্দ অঝর বর্ষার শোভা দেখে ভাবুক নজর! কেয়া বনে ক্ষণে ক্ষণে উঁকি মারে রোদ জল স্রোতে অবগাহন সফেদের দুধ। মেঘেদের খেলা চলে গুড়ুগুড়ু ডাক মাছরাঙা মাছ ধরে সাথে দাঁড়কাক। জলে ভাসা বর্ষা বাংলার রূপ টুপটাপ সুর বাজে হয়রান চুপ! ফুল শাখে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া হরেক …

আগের যুগে কথা হত চিঠির দ্বারা ভাই, সে সব দৃশ্য এখন যে আর কোথাও নাহি পাই। মাস খানেক যে সময় লাগতো চাইতে হত বার, পিওন চাচা এসে বলতো এই চিঠিটা কার। পত্র বুঝে হাতে নিয়ে খুশি হত বেশ, সেই না পত্রের খুশির কথা বলতো সারাদেশ। কোথায় গেলো সে সব আজকে এসে ইন্টারনেট, লেখে না কেউ চিঠি এখন পেয়ে মোবাইল স‍‍েট। …

লাগাম হীন রেসের ঘোড়া টগবগিয়ে ছুটছে ঘোড়া  কেটে নিচ্ছে গায়ের চামড়া বাজার দর খুব চড়া বাঁচার রাস্তায় ঝুলছে বড় বড় তালা।  পকেট ভরা টাকা নাই দাম শুনে ভিমরী খাই চাল ডাল মশলা পাতি পকেটে জ্বলে লাল বাত্তি মাছের বাজারে টেংরা কাঁচকি দামা দামিতে মারে ভেংচি। জ্যৈষ্ঠ মাসের আম কাঠাল দেখলে জিভে আসে জল  পকেটে নাই টাকা কড়ি আম কাঠাল ওজনে …

আচমকা রোদ্দুর আকাশটা ক্ষানিক মেঘলা করে দখিনা বাতাস আর ঝড়ো হাওয়ায় ভেসে বৃষ্টি হয়ে আসো তুমি, এ-বাগান বর্ষিত করতে। ভিতরের সকল আকাঙ্খা, ভালোবাসা আর পূর্ণতা- ঢেলে দিয়ে, তোমার বৃষ্টিময় সজীবতায় আমাকে সতেজ করে দাও। এখানের প্রতিটি ফুল, পাপরি আর বৃক্ষেরা তোমার অপেক্ষায়, অপেক্ষারত কয়েক বসন্ত ধরে। তোমার ঐ স্নিগ্ধ শীতল জলের স্পর্শ দিতে আর কতগুলো বর্ষা একাকী কাটাতে হবে আমায় …

কত  ফাগুন পেরিয়ে গেল তবু যায়নি তোমাদের ভুলে সেদিন যারা ভাষার জন্য রক্ত দিলে ঢেলে।। তোমাদের জন্যই ফাগুন এলে শিমুল পলাশ ফোটে, ফুলের তোড়ায় গেঁথে সে পলাশ মিনারে দেই সেঁটে। যে ভাষারি জন্যে জীবন তোমরা করলে দান, ফাগুন এলে সে ভাষাতেই কোকিল করে গান। ফাগুন মাসেই শূন্য হলো কত মায়ের কোল,  সেই ফাগুনেই বাংলা কাঁদে কাঁদে ঢোলের বোল। (মঙ্গলবার , …

গাছে গাছে পাখির ছানা দোয়েল, শালিক, টিয়া, ময়না, খুঁজতে খুঁজতে যেতাম সেথায় দিতাম আমি হানা। খেলার সাথী বন্ধুরা সব হারিয়ে গেছে কোন সে দূরে, ব্যস্ততার মাঝে জানিনা কোথায় আছে কোন সে অচিন পুরে। হারিয়ে ফেলেছি আজ ধুলো মাখা শৈশব, স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী আছে আজও লুকানো ওই সব। (মঙ্গলবার , জুলাই 18 2023)

এই যুগ এখন পাল্টে গেছে দ্রব্যমূল্যের ধারাও। হিসেব কষে মনে মনে হাটের মাঝে দাঁড়াও। কী নেবে আর কী নেবে না মনকে বোঝাও আগে। দরদাম সব চুলোয় যাক কিছু পেটের ভাগে। খেতে হবে, বাঁচতে হবে যা কুলোবে নাও। প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন সব যেন একেই পাও! ভাব কী আছে এমন জিনিস হাটের চালায় বসে। মনে পড়লে তাই নিয়ে যাও রান্না কর কষে। …

বর এসেছে বর এসেছে দেখবি যদি আয় পায়েল মণির বিয়ে হচ্ছে ছোট্ট সোনার গাঁয়। ঢোলক বাজে সানাই বাজে বাজে কত সুর বিয়ে বাড়ি ব্যস্ত সবাই আনন্দে ভরপুর। আনন্দেতে নাচছে সবাই গান গাইছে সুখে করুণ রাগের সুরটা শুধু বাজছে মায়ের বুকে। কনের বেশে সাজছে পায়েল গায়ে গয়না দিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে মেয়ে ঘোমটা মাথায় দিয়ে। কেমন করে দেবে বিদায় স্নেহের সোনা মেয়ে …