Breaking News

Prime Minister: কৌশলগতভাবে দুই প্রধানমন্ত্রী এক জোট নিয়ে ভাবতে হবে বৈকি

রিপোর্ট : মনিপুষ্পক খাঁ, এই যুগ, নিউজ ডেস্ক

আজ কথা বলব দুই রাষ্ট্রপ্রধান কে নিয়ে। কৌশলগতভাবে (Prime Minister)দুই প্রধানমন্ত্রী র মিল অকল্পনীয় । (Prime Minister)তোষণের রাজনীতি যাদের পলিটিক্যাল ফিচার ঠিক ধরেছেন প্রথমজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী । এবং অন্যজন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ এডোয়ান । এখন প্রশ্ন হল কেন বলছি? কখন বলছি ?Prime Minister: কৌশলগতভাবে দুই প্রধানমন্ত্রী এক জোট নিয়ে ভাবতে হবে বৈকি

স্বভাবতই কিছুদিন আগে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হল । (Prime Minister)যা ভারতবর্ষের বুকে বিরোধীদল গুলি র কাছে এক বড় শিক্ষা । সাম্প্রতিক ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর – তুরস্কের রিচেপ এডোয়ান পাঁচ বছরের জন্য ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন ! শুধুমাত্র নিজের স্ট্রংম্যান ভাবমূর্তির জন্য । অর্থাৎ তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিতে মুগ্ধ ভক্ত কুল।

এই রাষ্ট্রপ্রধান  (Prime Minister) নিজের বক্তৃতা এবং অন্যান্য প্রচারে – মানুষের জন্য নানা সুরাহা ও আর্থিক উন্নয়নের প্রচার মন্ত্র মিশিয়ে থাকেন! যদিও মেরুকরণ এর রাজনীতি তার প্রধান হাতিয়ার ! কিন্তু অত্যন্ত কৌশলে রিচেপ রক্ষণশীল ভোট ব্যাংক, কট্টর ধর্ম বিশ্বাস, উগ্র জাতীয়তাবাদের ওপর ভরসা রাখেন । ঠিক একইভাবে ভারতের মোদির প্রসঙ্গে আসতে গেলে দেখা যাবে কতটা মিল ।

নরেন্দ্র মোদী – তার কৌশল কি ?
আসলে বিজেপি বনাম বিরোধীদের  (Prime Minister) লড়াইটা অনেকটা গভীরে ! অনেক বেশি মতাদর্শ গত যার সঙ্গে সাংবিধানিক মূল্যবোধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা ও দেশভাগের পরে এদেশে মূলত দুটি ভাবনার জন্ম হয়েছিল । দেশ বিভাজনের ফলে ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে। সুতরাং সীমান্তের উল্টোদিকে ভারত নামক একটি হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি হওয়া উচিত । আর এর বিপরীতমুখী মত ছিল ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক ভারতের ভাবনা। যার কারিগর ছিলেন জহরলাল নেহেরু ,বি আর আম্বেদকার রা ।
স্বাধীনতার পরে এই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ভাবনা তারা সংবিধানে গেঁথে দিয়েছেন।স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও এই দুই ধারনার সংঘাত এখনো শেষ হয়নি! যার ফয়দা লুটছেন মোদী।

মোদী জামানায় বিজেপির নিরঙ্কুশ  (Prime Minister) সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগে সঙ্ঘ পরিবারের উত্তর পুরুষরা নতুন করে হিন্দু রাষ্ট্রের পথে হাঁটতে চাইছেন । তার জন্য নেহেরু দের ইতিহাস মুছে দেওয়া জরুরী। সে কারণেই হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের আইকন সাভারকারের জন্মদিনে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়েছে ।

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে হিন্দু (Prime Minister) আচার মেনে সংসদ ভবনের উদ্বোধনের পরে সাধুসন্তদের হাতে রাজতন্ত্রের প্রতীক রাজদন্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিন মূর্তি ভবনের সংগ্রহশালা থেকে নেহেরুর নাম মুছে দেওয়া বা হিন্দু ঐতিহ্যের ধারক বাহক গীতা প্রেস কে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়া সেই হিন্দু রাষ্ট্রের পথে এগোনোরই এক একটি মাইল ফলক মাত্র । যা সুকৌশলে করছেন মোদি !

এখন প্রশ্ন ! কংগ্রেস সহ বিরোধী (Prime Minister) শিবির কে ঠিক করতে হবে তারা কি এই মতাদর্শগত লড়াইটা আদৌ লড়তে চায় ? নাকি তা করতে গিয়ে বিজেপির মেরুকরণের ফাঁদে পা দেয়ার বিপদ দেখে তারা আপাতত নির্বাচনী লড়াই টাকে শুধুমাত্র মানুষের রুটি রুজি , চাকরির অভাবের প্রশ্ন সীমাবদ্ধ রাখতে চায় ! সেক্ষেত্রে তাদের বিকল্প নীতি কি ?
যেটা বলছিলাম আর কি বিরোধী দল গুলো কে ভাবতে হবে অবশ্যই বিশদভাবে ।

আসলে রিচেপ এবং মোদী র (Prime Minister) কৌশলটা অনেকটাই এক । আমরা যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র একটু ভালো করেএনালাইসিস করলে দেখতে পাবো – দুজনেই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, দুজনেরই প্রধান হাতিয়ার মেরুকরণ হলেও উগ্র জাতীয়তাবাদ ও কট্টর ভোটব্যাংকে তারা হাতে রেখেছেন সুকৌশলে । এখানেই শেষ নয় নরেন্দ্র মোদী ও রিচেপ এডোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা ও বেশ এক । দুজনকেই বিরোধীরা একনায়ক তান্ত্রিক স্বৈরাচারী বলে মনে করেন । রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে কিছু শিল্পপতি বন্ধুকে সব সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ দুজনের বিরুদ্ধেই আছে । সংবাদ মাধ্যম এবং বেশ কিছু সংস্থাকে হাতের পুতুল বানিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার চক্রান্ত দুজনের বিরুদ্ধেই আছে । কিন্তু সুকৌশলে দুজন ই ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে চলে রাজনীতিতে ! অর্থাৎ মোদির ভোটব্যাঙ্কটা হিন্দুত্ববাদী, এডোয়ানের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল মুসলিম । ফারাক শুধু এইটুকু!

তুরস্কের বিরোধীরা (Prime Minister) একজোট হয়েছিলেন নির্বাচনের আগে! এডোয়ান কে সরিয়ে তারা ব্যক্তি স্বাধীনতা , মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জনগণকে ! আশা ছিল আদালতের মতন প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা ফিরবে ! এড ওয়ানের নিজের হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ এর বিপরীতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ শুরু হবে । স্বৈরতন্ত্র বিরোধী মানুষ রিচেপ এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিরোধীরা ৪৮ শতাংশ ভোট পেলে ও রিচেপ ফের সরকার গঠন করেছেন।

পাটনায় বিরোধী জোটের (Prime Minister) বৈঠকের আগে তুরস্কের ভোট তাহলে বিরোধী দলগুলোর কাছে কি শিক্ষা রেখে যায় ?হিতোপদেশের নীতিকথাটি হল মোদী বা রিচেপ কে মসনদ থেকে সরাতে গড়পরতা মানুষের রুটি রুজির প্রশ্নে বিকল্প নীতি তুলে ধরাটা জরুরী । যা এখনো পর্যন্ত বিরোধী দল গুলোর ভাবনা চিন্তার বিষয় নয়!

পাটনা ও তার পরবর্তী (Prime Minister) জোট বৈঠক থেকে বিরোধীদের বার্তা দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী যেই হোন না কেন তারা সুশাসন নিশ্চিন্ত করতে পারবেন। স্থায়ী ও স্থিতিশীল সরকার গড়তে পারবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।