শনিবার , সেপ্টেম্বর 21 2024
Breaking News

Sundarban: আমেদাবাদ অপহরণের ডেরা থেকে কোনরকম প্রাণে বেঁচে ফিরলেন সুন্দরবনের ইঞ্জিনিয়ার

রিপোর্ট : হাসানুজ্জামান , এই যুগ, উত্তর ২৪ পরগনা

Sundarban: আমেদাবাদ অপহরণের ডেরা থেকে কোনরকম প্রাণে বেঁচে ফিরলেন সুন্দরবনের ইঞ্জিনিয়ার টানা ১২ দিন অপহৃত (Sundarban)থেকে মগজাস্ত্রের ব্যবহার করে অবশেষে কুড়ি দিন পরে সুন্দরবনের নিজের বাড়িতে ফিরলো তপোব্রত।(sundarban ) বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত মন্ডল ও তপতী মন্ডলের একমাত্র ছেলে তপোব্রত মণ্ডল কর্মসূত্রে ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে রওনা দেয় চাকরির উদ্দেশ্যে গুজরাটের আমদাবাদে।

কুড়ি তারিখ (sundarban )পৌঁছানোর পর থেকে বাড়ির সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তার বাড়ির লোক একাধিকবার মোবাইল ফোনে ফোন করলেও সেটি সুইচ অফ বলে। তারপর ওই বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনো সদুত্তর না মেলায় তপোব্রতর দাদা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সন্দেশখালি থেকে প্রথমে আহমেদাবাদ যান। সেখানে একাধিক বার ঐ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা তপোব্রতর ব্যাপারে কোন খোঁজ দিতে পারেননি।

অবশেষে তারা আমেদাবাদের গুজরাট পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাদের অভিযোগ একটার পর একটা থানা ঘোরালেও তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তাদের কাছে মোটা অর্থ দাবি করা হয়। অবশেষে তারা পুনরায় সন্দেশখালিতে ফিরে আসে। তারপর সন্দেশখালি থানায় তপোব্রতর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সন্দেশখালি থানার পুলিশ।

ইতিমধ্যে চলতি মাসের ২ তারিখে কোরাকাটির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায়ের কাছে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে। সেই সেই ফোনের ওপারে গলা ভেসে ওঠে তপোব্রতর। তারপরে অনেক যুদ্ধের পর ৫ই আগস্ট শনিবার রাতে কোড়াকাটিতে নিজের বাড়ি ফিরে আসে ওই আইটিআই ইঞ্জিনিয়ার। তারপরে বাড়ি এসে জানায় আমেদাবাদ স্টেশনে নামমাত্রই স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক অটোওয়ালা সহ তিন যুবক তাকে অপহরণ করে। তারপরে তাকে আমেদাবাদের বানসারার একটি চালের মিলে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১২ দিন ওখানে থাকার পরে কোনরকমে সে ওই গ্রামেরই প্রণব রায় সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। তারপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায় তার আমেদাবাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

এবং একটি (sundarban) গাড়ির নাম্বার তপোব্রতকে দেয়। তপোব্রত তার সর্বস্ব হারিয়ে কোন রকমে প্রাণ রক্ষা করে ওই গাড়ির নাম্বারটি কোম্পানির সামনে থেকে ফলো করতে থাকে। গাড়ি আসা মাত্রই সে গাড়িতে চেপে বসে এবং সোজা চলে আসে আমেদাবাদ স্টেশনে। সেখান থেকে একেবারে সন্দেশখালি বাড়িতে এসে পৌঁছায়। কি করে সে অপহৃত হলো? কেনই বা তার অপহরণ করা হলো? এর সঙ্গে কি বড়সড়ো অপহরণ চক্রের কোনো যোগ আছে নাকি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে? পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তপোব্রত বাড়ি ফিরে বারে বারে সেই অপহরণের গল্প শোনাচ্ছে। তখনই ভেসে উঠছে তার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ ও এমনকি মাঝে মাঝে ঘটনার কথা মনে করে সে শিউরে উঠছে। বাড়ির একমাত্র সন্তানকে ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশির হওয়া মন্ডল পরিবারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।