
(WOMB HEALING) দুশ্চিন্তা হতাশার দিন শেষ। সন্তান কোলে হাসি মুখে বাড়ি যাওয়ার উপায় বললেন ঐরাবৎ সংস্থার কর্ণধার বিশেষজ্ঞ ডা: তমাল কুমার জানা। শুনলেন এই যুগ প্রতিনিধি।ঐরাবত সংস্থার কর্ণধার ডক্টর তমাল কুমার জানা গত ছয় মাসে প্রায় শতাধিক মহিলাদের তাদের মাতৃত্বের সাধ এনে দিয়েছেন WOMB HEALING এর মাধ্যমে , যারা বিগত পাঁচ সাত বছরেও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন সুফল পাননি। ডা: জানার মতে , “WOMB HEALING নতুন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নয় বরং ভারতবর্ষের অতি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিনা বর্তমান আধুনিক চিকিৎসার আড়ালে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এটি সম্পূর্ণভাবে ঔষধ বিহীন একটি পদ্ধতি। এটি সাধারণ প্রধানত গর্ভাশয় এবং ডিম্বাশয় কে শক্তিশালী করে তোলে যাতে সন্তান ধারণ ক্ষমতা বাড়ে।”ভারতের ঐরাবত সংস্থার হাত ধরে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি WOMB HEALING এর হাত ধরে এবং সুপ্রজননবিদ্যার প্রয়োগে বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে এখন অনেক হতাশ-দম্পতি ‘বাবা’, ‘মা’ ডাক শুনে জীবনে পূর্ণতা ফিরে পাচ্ছেন , যারা ফিলোপিয়ান টিউব ব্লক , ব্যর্থ আইভিএফ কিংবা মিস ক্যারেজ এর সমস্যায় ভুগছিলেন। গত পাঁচ বছরে বিশ্বে ছয় হাজারেরও বেশি শিশুর “WOMB HEALING” পদ্ধতির মাধ্যমে জন্ম হলেও এখনো অনেকের কাছেই এটি নয়া পদ্ধতি , তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই এই বিষয়ে ধারণা না থাকার জন্য বন্ধ্যাত্ব দূর করে মা হওয়ার সুবিধা নিতে পারছেন না। ওনার মতে, “বন্ধ্যাত্বের কিছু কারণের মধ্যে অন্যতম হল- মহিলাদের অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন বা না হওয়া , পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর গঠন এবং কার্যকরীতা প্রভাবিত হলে তা টেস্টিসে সমস্যা করে। মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের অন্যান্য সাধারণ বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে হরমোন এবং প্রজনন অঙ্গের সাথে জড়িত সমস্যাগুলি ,ফ্যালোপিয়ান টিউবে খুঁত বা বাধা (সাধারণত সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড সংক্রমণ বা এন্ডোমেট্রিয়োসিসের কারণে হয়) থাইরয়েড অথবা পিটুইটারি গ্রন্থির অস্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ , এছাড়া PCOD, PCOS তো আছেই ।সাধারণ চিকিৎসা ক্ষেত্রে বলা হয় , ৩৫ বছরের পরে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। কারণ , এই বয়সের পর নারীদের ডিম তৈরি কমে যায়। কিন্তু আমাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বয়স কোন বাধাই নয় তাই চল্লিশ বছরের কাছাকাছি এসেও অনেকে WOMB HEALING চিকিৎসা নিতে আসেন।বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা পুরাটাই আসলে নির্ভর করে বন্ধ্যাত্বের কারণ, কতদিন চেষ্টা করেও বাচ্চা হয়নি তার ওপর। পেশেন্ট ও তার স্বামীর বয়সের ওপরও এটি অনেকটা নির্ভর করে। সবশেষে এটাই বলতে চাই সাধারণভাবে , বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি , ব্যয় বহুল ও কষ্টকর। কিন্তু WOMB HEALING পদ্ধতি অনেক বেশি সুলভ সহজলভ্য এবং স্বল্প মেয়াদী তাই মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সকলেই এই চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।”