Breaking News

AMTA: অবশেষে বিচার পেলো মুক্তির চক গণধর্ষণের দুই নির্যাতিতা

রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া

রাতের অন্ধকারে (AMTA) এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভা ভোটের পর হাওড়ার মুক্তি র চকে র এক বাড়ীতে ঢুকে এক গৃহবধূ ও তার শ্বাশুড়িকে ধর্ষন করেছিল একদল দুষ্কৃতি।(AMTA) শুধু তাই নয়,চালানো হয়েছিল পাশবিক নির্যাতন।(AMTA) এই ঘটনার পরেই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।বরুন মাখাল,গৌতম মাখালরা একি পাড়ায় দুই নারীর উপর যে অত্যাচার করেছিল -তার বিচার কি হবে না?সত্যি কি বিচার পাবে হতভাগ্য দুই নারী ?-ঘটনার পর থেকে বিধ্বস্ত স্ত্রী র মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস যুগিয়েছিল যুবক।সে যে তার স্বামী।AMTA: অবশেষে বিচার পেলো মুক্তির চক গণধর্ষণের দুই নির্যাতিতা

তার বাড়িতে না থাকার সুযোগে পাষন্ডরা যে অত্যাচার করেছিল-তার বিচারের আশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে ধর্ষিতার স্বামী।একেবার দরিদ্র গ্রামীন ও খেটে খাওয়া মানুষের গ্রাম মুক্তির চকে আজো সেই রাতের কান্না ভেসে বেড়ায়। এতদিন ধর্ষিতা মায়ের কোলে শুয়ে গুমরে কেঁদেছে যে সন্তান সে ই আবার ধর্ষিতার স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছে সাহস ও ভরসা যুগিয়ে ছে তার স্বামী ।ভয়,প্রলোভন সত্বে ও একবারের জন্য ভেঙে পড়ে নি সে ধর্ষিতা র স্বামী। তবে এই ঘটনার পর নৈতিক সাপোর্ট পেয়েছে আপামর আমতাবাসীর থেকে।আজ মুক্তির চকের ঘটনায় দোষীদের সাজা শোনাবেন বিচারক। ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয় আট জন। শনিবার দোষীদের কুড়ি বছরের জেল ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের জেলের আদেশ দেন বিচারক।সেই টাকা নির্যাতিতার হাতে তুলে দেওয়ার আদেশ ও দেন তিনি। এদিন আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজা প্রাপ্তদের পরিবারের লোকজন।তবে এই আদেশের ফলে বিচার পেল দুই নির্যাতিত হতভাগ্য নারী ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।