যৌন নির্যাতনে (CoochBehar) মৃত কিশোরীর পরিবার কে নিয়ে রাজনৈতিক মারামারির মতো মর্মান্তিক দৃশ্য দেখলো কোচবিহার শহর। (CoochBehar) কোচবিহার এক ব্লকের খাপাইডাঙ্গার এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে একদল যুবক। যার ফলে ব্যাপক অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী।বুধবার কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় ১৪ বছরের ওই যৌন নির্যাতিতা কিশোরীর।
পরবর্তীতে এমজেএন মেডিকেল কলেজে নির্যাতিতা কিশোরীকে দেখতে আসে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাহুল সিনার সঙ্গে মৃতার বাবা সহ পরিবারের লোকজনরা কথা বলছিল তখনই অনুগামীদের নিয়ে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজে ঢোকেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কে রাহুল সিনহার গো ব্যাক স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তৃণমূল ও বিজেপি দুজনই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকে। মৃতের পরিবার কোন দলের পক্ষে থাকবে তা নিয়ে মৃতার বাবাকে ধরে ব্যাপক তাড়াতাড়ি শুরু করতে থাকে তৃণমূল ও বিজেপি। তারি মধ্যে দিয়ে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপর হাসপাতালের সামনে সুনীতি রোডে মৃতার বাবাকে নিয়ে চলে টানাটানি যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়েটির বাবা। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং মারামারি। পরবর্তীতে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তার গাড়িতে করে মৃতার বাবাকে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরোয় ওই কিশোরী। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। কুড়ি তারিখে পরিবারের তরফ থেকে কোচবিহার এক ব্লকের পুন্ডিবাড়ী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর মাথাভাঙ্গা হাসপাতাল থেকে ফোন করে নাবালিকার খোঁজ দেওয়া হয় বাড়িতে। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই কিশোরীকে মাথাভাঙ্গায় অপহরণ করে নিয়ে গেছিল একদল যুবক। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়, যার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নির্যাতিতা কিশোরী।
পরবর্তীতে তাকে প্রথমে মহাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে কিশোরীকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর আবার কোচবিহার এমজিএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই কিশোরীকে। বুধবার চিকিৎসা চলাকালীন ই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কোচবিহার জেলা পুলিশ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।