বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কলকাতা (kolkata) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকামাত্রই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয় রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকতেই টিএমসিপি-র সদস্যদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে কোন রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দাবি করেছে রাজ্যপাল কোনরকম নিয়ম না মেনে একজন উপাচার্যকে একেবারে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বসিয়ে রেখেছেন। এমনকি পূর্ণ সময়ের জন্য কোন উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না।এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপকদের হাতে মানপত্র তুলে দিতে বিশেষ একটি আয়োজন করা হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালযের কলেজ স্ট্রীট ক্যাম্পাসে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকার সময় রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখানো হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে পড়ে।বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত চরমে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যার জন্য শীর্ষ আদালতে মামলা করতে হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব আদালত জানিয়ে দেয় সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। এমনকি কমিটি ও গঠনে কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে সার্চ কমিটি গঠন হবে সেই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য তিনজন করে উপাচার্যের নাম বাচবে এবং তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী একজন করে বেছে নিয়ে অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠাবেন।
kolkata: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে টিএমসিপি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন রাজ্যপাল
রিপোর্ট : বেবি চক্রবর্ত্তী , এই যুগ, কলকাতা