প্রায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের (Kolkata) মতো হঠাৎ করে মৃত্যু হলো যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া প্রতীপ কুমার মান্নার(২১)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করতেন প্রতীপ। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা। পড়াশোনার সূত্রেই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ‘ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন আরেক পড়ুয়া অর্ক মাইতি।
অর্ক মাইতির কথা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘরে অসুস্থ বোধ করে প্রতীপ। তাঁকে ওষুধ কিনে নিয়ে আসতে বলেন তিনি। ওষুধ কিনে ৮ টার সময় ঘরে ঢুকে দেখে প্রতীপ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁকে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে যান অর্ক। সেখান থেকে কেপিসিতে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছে না যে তার মৃত্যুর পিছনে কোনো রহস্য আছে কিনা।