শামুকতলার (Alipurduar) গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে রবিবার বিকেল চারটা নাগাদ এমনটাই জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শামুকতলা বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা পাল এবং তার ছেলে প্রসন্ন পালের উপর হামলা করে দুষ্কৃতী তার বাড়িতেই। রাতেই তাদেরকে কোচবিহার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। শনিবার দুজনের অপারেশন করা হয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে। পূর্ণিমা পালের অবস্থা আশঙ্কাজনক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তার ছেলে প্রসন্ন পাল অনেকটাই ভালো আছেন জানা গেছে তার নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে। পূর্ণিমা পালকে এলো পাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার পেটের নাড়িভুড়ি সব বের হয়ে গিয়েছিল। রবিবার পূর্ণিমা পালের উপর হামলার বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার দেবর সাধন পাল। এদিকে ঘটনা ঘটার চল্লিশ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। ফলে একদিকে যেমন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অপরদিকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধন বাবুর অভিযোগ তার বৌদির বাড়িতে দুষ্কৃতী লুকিয়ে ছিল কোন খারাপ অভিসন্ধি নিয়ে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পূর্ণিমা পাল বাথরুম থেকে বের হয়েই দেখতে পান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। দুষ্কৃতী তাকে দেখেই এলোপাথাড়ি ভোজালি চালিয়ে দেন। উল্লেখ্য পূর্ণিমা পাল শামুকতলা হাসপাতালের সামনেই একটি হার্ডওয়ারের দোকান চালাতেন তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই। শামুকতলা থানার ওসি বিশ্বজিৎ দে জানিয়েছেন জোর কদমে তদন্ত চলছে। অনেক তথ্যই হাতে এসেছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত কে পুলিশ ধরতে পারবেন আশাবাদী তিনিও।
Alipurduar: শামুকতলার ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ,অভিযোগ পুলিশের কাছে
রিপোর্ট : মলয় দেবনাথ , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার