শনিবার , সেপ্টেম্বর 21 2024
Breaking News

Bhangar: ভাঙ্গড়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ বেসরকারি নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে

রিপোর্ট : ইয়ামুদ্দিন সাহাজী, এই যুগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

ঘটনার সূত্রপাত (Bhangar) পারিবারিক অশান্তির জেরে গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী‌ সহ শ্বশুরবাড়ির (Bhangar) লোকজনের বিরুদ্ধে।,(Bhangar) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে ভাঙ্গড়ের ঘটকপুকুর এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।(Bhangar) রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গড় থানার ঘটকপুকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রেজিনা খাতুন (২২)। তাঁর বাবা সহর আলি গাইনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।Bhangar: ভাঙ্গড়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ বেসরকারি নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় তিন বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার জয়গ্রাম গ্রামের বাসিন্দা সহর আলি গাইনের মেয়ে রেজিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ভাঙ্গড় থানার এরেন্ডা গ্রামের মারুফ মোল্লার সঙ্গে। ওই দম্পতির একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।অভিযোগ সম্প্রতি মারুফ মোল্লার সঙ্গে অন্য এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানান রেজিনা খাতুন। অভিযোগ এরপর থেকেই রেজিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রেজিনা একমাস আগে বাপের বাড়ি চলে যান। ১৫ দিন আগে মারুফ মোল্লা ফোন করে রেজিনাকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। সেইমতো রেজিনা ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়। অভিযোগ এদিন ওই দম্পতির মধ্যে পুনরায় অশান্তি শুরু হলে তাঁকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। এরপর ওই গৃহবধূর এক দেওর তাঁর বাবাকে ফোন করে জানায় তাঁদের মেয়ে বিষ খেয়েছে বলে। খবর পাওয়া মাত্রই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন ঘটকপুকুরের ওই নার্সিংহোমে চলে আসেন। অভিযোগ ওই নার্সিংহোমে রেজিনাকে ভর্তি করার পর কোন চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেননি। প্রায় তিন ঘন্টা পর ওই নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় রেজিনার। এরপরেই নাসিংহোম থেকে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কর্মীরা। এই ঘটনার পর ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে এই ঘটনায় ওই নার্সিংহোমের মালিকের ফোন বন্ধ থাকায় তানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।