পুজো আসতে এখনো ঢের (Darjeeling)। কিন্তু ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের পর্যটনশিল্পে শারদ উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। (Darjeeling) দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের হোটেল অ্যাসোসিয়েশন এবং ট্যুর অপারেটরদের সংস্থাগুলোর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড় ও ডুয়ার্সের প্রায় ৯৫ শতাংশ হোটেল ও হোমস্টে ইতিমধ্যেই বুকিং শেষ। এখন অধিকাংশ বুকিং চলছে কালীপুজোর।
(Darjeeling)পরিস্থিতির চাপে শৈল শহরের ভিড় এড়াতে এবার পুজোয় ভিলেজ ট্যুরিজমে জোর দিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে জিটিএ । ইতিমধ্যেই জিটিএর তরফ থেকে গ্রামীন এলাকার হোমস্টের ঠিকানা তুলে ধরতে অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। গত বছর শারদ উৎসবে ভ্রমণ রসিক বাঙালি পাহাড় মুখও ছিল। সে সময় শৈল শহরে ও ডুয়ার্সে ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে তিন ঘন্টার রাস্তা পাঁচ ঘন্টাতেও অতিক্রম করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দাদের হোটেল ও হোমস্টে গুলোতে বুকিং এর হিড়িক দেখে জিটিএ কর্তাদের কাছে স্পষ্ট করনাকালের পর এবার ফের ভিড় আছে পরে পড়তে চলেছে দার্জিলিং কলিংপং মিরিক সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
মূলত সেই কারণেই শৈল শহর ও ডুয়ার্সের চাপ কমাতে পর্যটক দের সিটং, শিবখোলা, চটকপুর তাগদার মত গ্রামের মনোরম এলাকায় হোমস্টেগুলোতে থাকতে অথবা বেড়াতে যেতে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ছিটিয়ে মুখপাত্র শক্তি শর্মা বলেন একদিকে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবার বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে তো অন্যদিকে শহরাঞ্চলে যানজট কমাতে পর্যটকদের গ্রামের হোমস্টে গুলিতে থাকতে অনুরোধ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে পর্যটক অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন এন্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, শারদ উৎসবের দিনগুলোতে হোটেল ও হোমস্টে তে প্রায় ঠাই নেই দশা হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেড় লাখের বেশি পর্যটক আসছেন। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা অবশ্য আশ্বস্ত করে বলেন ভিড় বাড়লেও পাহাড়ের হোটেল হোমস্টেতে থাকার জায়গা মিলবে গাড়ির চালকদের এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সচেতন করা হয়েছে পর্যটকদের।