ভবিষ্যৎ হল বহমান (Future) টাইমলাইনেল একটি অংশ যা পূর্বে আকাঙ্ক্ষিত।আমরা কি ভবিষ্যৎ বলতে পারি ? তাহলে তো জ্যোতিষচর্চার ধ্যান-ধারণা চলে আসে এই তত্ত্বে।আমরা এখানে মানুষের সময়ের গতি কোন দিকে এগোচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ কি সঠিক পথে পরিচালিত হচ্ছে? আজকের সেই সব ধারনার কিছু তথ্য খোঁজার চেষ্টা করবো আমরা।
পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী হলো “মানুষ”। প্রাচীন কাল থেকে মানুষের পরিবর্তন হতে হতে তারপর মানুষ বহু শতাব্দীর পর সভ্য হয়েছে। তাই এটাও একটা ভবিষ্যৎ। এই পরিবর্তন হতে বহু বছর লেগেছে সময়। তাই মানুষের অগ্রগতি উন্নত থেকে উন্নতশীল হয়ে উঠছে আজ এই কম্পিউটার আধুনিক যুগে। আমরা তিনটি যুগের কথা জানি তা হলো-
১.৪৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন যুগ।
২.পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত মধ্য যুগ বা ধ্রুপদী-উত্তর যুগ।
৩. যার মধ্যে রয়েছে ইসলামি স্বর্ণযুগ(৭৫০- ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) ও ইউরোপীয় রেনেসাঁ (১৩শ শতক থেকে শুরু)। আধুনিক যুগের সূচনাকাল ধরা হয়।
– মানুষের অনেক উন্থান-পতনে তাদের লাইভ অফ কন্ট্রোল এসেছে,….
“Humans have developed but how secure their future is in this modern age. People are still getting separated from the unity of unity.”
– এই প্রশ্ন নিজেদের করতে হবে। আমরা কতটা সুরক্ষিত?
ভবিষ্যৎ হলো সময় যা বর্তমান সময়ের পরে ঘটবে। এই আগমনকে আমরা সময়ের অস্তিত্ব এবং পদার্থবিজ্ঞানের আইনে অনিবার্য বলে মনে করা হয়।
মানুষ কি চায়?(what people want)- ভবিষ্যৎ বলতে অর্থ প্রাচুর্য নিয়ে সুখে জীবন কাটানো নয়। ভবিষ্যৎ এমন হওয়া দরকার,….
“যা পরবর্তী প্রজন্ম এমন একটা শিক্ষা পাবে,যে শিক্ষা তার জীবনের প্রতিটি উন্থানে কাজে লাগবে”।
– মানুষের জীবনে চারটি স্তর ১.শৈশব ২.বাল্যকাল ৩.যৌবন ৪.বার্ধক্য। এই স্তরগুলো প্রতিটি মানুষের জীবনে আসে। তাই,…..
“প্রতিটি মানুষ চিরকাল এই পৃথিবীর জন্য স্থায়ী নয়। তাদের ও চলন-গমনের মতো আত্মার উন্থান হয় কর্মগুণে”।
– মানুষের বার্ধক্য এলে তারা কর্মগুণ নিয়ে সচেতন হয়ে পড়ে। কারণ কর্মই তার “পরবর্তী ঠিকানা হয়”। মানুষ এমন একটা ভবিষ্যৎ চায়। যেখানে নিজেদের সুরক্ষা থাকবে। ন্যায়-নীতি-কর্ম,অর্থ,শিক্ষা,ধর্ম সবক্ষেত্র সঠিক পর্যায়ে পরিচালিত হবে। কিন্তু বর্তমান লাইভ স্টাইল “মানুষের জীবনে বিপরীত প্রতিক্রিয়া আনছে। যে শিক্ষা “পরবর্তী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে”। এই ভাবে চললে এক সময় শুনতে হবে সেই “উলঙ্গ রাজা নাটকের ছোট্ট শিশুর বাস্তব বক্তব্য “রাজা তোমার পোশাক কোথায়”?
এখন সোশ্যাল মিডিয়া এতোটাই চটপটে যে, প্রচারের মাধ্যম খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে। এটার যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিক ও আছে। আমরা এমন একটা মানসিকতার আইনকে কঠোরতায় বেঁধে দেবো,যে খারাপ দিকগুলো থেকে যুব সমাজ সচেতন থাকে।তাই আমাদের খারাপ দিকটি ছেঁটে ফেলে ভালো দিকটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। তবেই তাদের প্রতিটা পারিবারে ভবিষ্যৎ হবে মঙ্গল। সঠিক মূল্যায়ন ও সঠিক তথ্য প্রদান করা। ভুল শিক্ষা ভবিষ্যৎ কে অন্ধ বানিয়ে রাখে,….
“আর কতদিন অন্যায় তুমি প্রশ্রয় দেবে? সভ্য যেদিন একজোট হবে। তোমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে পতনের আঘাত লাগবে।”
– তাই ভবিষ্যৎ বিদ্যা হলো সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নির্ণয় সম্পর্কিত বিজ্ঞান,কলা ও চর্চা। পূর্বাভাস হলো কোনো অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সম্ভাব্য ফলাফলের অনুমানের প্রক্রিয়া।
ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে?(Where is the future going)- বতর্মান ভবিষ্যৎ এখন একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। লাইভ স্টাইল সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতায় ভরে উঠেছে। কিন্তু এই রকম লাইভ স্টাইলে আমাদের কোন অসুবিধা নিশ্চয় থাকতে পারেনা। কিন্তু দ্বার্থহীন ভাষায় বলা যায় যদি বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটায়। তখন এই প্রতিক্রিয়া “জীবনের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠে”। তাই আমাদের সহজ লভ্যতার মধ্যে জীবন চালানো উচিত। মানে যার যেমন সামর্থ্য সেই ভাবে তাকে চলা উচিত। যদি সীমা অতিক্রান্ত করে “তাহলে ভবিষ্যৎ ভেঙে পড়ে। সেই জন্য তার নিজেদের কিছুটা সুরক্ষা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা করে তুলতে হবে।
এক নায়কতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা। এই রকম শাসন চললে, সুবিধা ভোগীরা চিরকাল প্রশ্রয় পেয়ে “নিজেদের আরামদায়ক করে তুলবে”! কিন্তু মধ্যবৃত্ত ও দরিদ্ররা জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়বে। এর ফলে সমাজ থেকে পরপর বিচ্ছিন্নতা মনোভাব চলে আসবে। আমাদের এমন একটা সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে,…..
“শাসন হবে সকলের জন্য সমান। আইন হবে কঠোর। শিক্ষা হবে মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ এবং অর্থ হবে সুরক্ষিত।”
ভবিষ্যৎ কোথায় ঠেকবে?(Where does the future hold)- ভবিষ্যৎ নিয়ে খুঁজতে গেলে পদার্থবিজ্ঞান,জ্যোতিষচর্চা এইগুলো নিয়ে রাশি রাশি পুঁথি ঘাটতে হবে। কিন্তু ভবিষ্যৎ এর কি বিনাশ আছে? অবশ্যই ভবিষ্যৎ এর বিনাশ আছে। একটা মানুষ জন্ম গ্রহন করে যখন “তখন থেকেই তার জীবনের একটা টাইম লাইন শুরু হয়ে যায়।” অঙ্কের ভাষায়,……
“জীনের সময় চিরকাল স্থায়ী নয়। তার একটা পথের সীমারেখা থাকে। সেই সীমারেখা যখন অন্য লাইনের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হয়। তখন দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখান থেকে আসে প্রতিযোগিতা। সংগ্রামে একজন জেতে একজন হারে। এই ভাবে ভবিষ্যৎ-এর ও বিনাশ আছে।”
(“Jean’s time is not permanent. It has a path line. When that line intersects with another line, conflict begins. This is where competition comes in. In the struggle, one wins and one loses. This is how the future is destroyed.)
– আমরা ভবিষ্যৎ এর পেছনে না দৌড়ে যদি নিজেদের সঠিক কার্যক্ষতা জেনে লাইভে এগোই। তাহলে সেই ভবিষ্যৎ অবশ্যই সুখকর হবে। আমরা অন্যের দায় নিয়ে চলতে পছন্দ করিনা। এটা কখন আসে “যখন নিজের মধ্যে সেই যোগ্য থাকেনা। অথচ কুশলতার মাধ্যমে সেখানে স্থায়ী হয়। তখন তাকে নানান দায় চেপে চলতে হয়। তাই ভবিষ্যৎ হলো একটা “দিশা”! যার মধ্যে আছে নতুন একটা প্রজন্ম। ভালো চিন্তার বিকাশ ঘটলে “ভবিষ্যৎ দেশের জন্য সুখকর হয়ে ওঠে”।
আমরা জীবনের উন্থান-পতনে নিজেদের গড়তে সক্ষম করে তুলবো। না হলে জীবন,……
“দিনের পরে যেমন রাত আসে। জোয়ারের পর ভাটা আসে। সূর্যের পর চাঁদ আসে”।
– এই সত্যতাগুলো তো আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। তাই জীবন হোক “সংগ্রামের একটা লক্ষ স্থির করে, মানতে হবে উন্থান-পতনকে।”
Future: ভবিষ্যৎ কি চায় ?
রিপোর্ট : তাপস কুমার বর , এই যুগ, নিউজ ডেস্ক