চাঞ্চল্যকর ও ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্তর দ্বিতীয়া স্ত্রী মিনা সাউ(৪০)-এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামী কুন্দন সাউকে গ্রেফতার করে লিলুয়া থানার পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। আগের বাসস্থান বদল করে তারা লিলুয়া থানার অন্তর্গত চকপাড়া বটতলায় জনৈক রজত ঘোষের বাড়ি ভাড়া করে। চকপাড়াতে আসার পর তার স্বামী কুন্দন সাউ তার আগের পক্ষের মেয়েকেও ওই ভাড়া বাড়িতে এনে রাখে। মিনা সাউয়ের স্বামী মিনাকে বিয়ে করার আগে কান সাউ নাম এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পরে প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে জন্ম নেয় যার বর্তমান বয়স ১৫ বছর। মেয়ের জন্মের এক বছরের মাথায় তার স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যায়। এরপর মিনা দেবীর সাথে কুন্দন সাউ-এর পরিচয় হয় ও তাঁকে বিয়ে করে সে। প্রায় ১০ বছর বিয়ে অতিক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তাঁদের একটি ৭ বছরের মেয়ে রয়েছে। আর এই বছর হোলির এক মাস আগে থেকে তারা বর্তমান ঠিকানায় ভাড়া আসেন। ২০২২ সালের হোলির পর থেকে তার স্বামী তাঁর প্রথম পক্ষের নাবালিক মেয়ের সাথে জোর করে খারাপ ভাবে মেলামেশা করছে সেটা তাঁকে তার সৎ মেয়ে জানায়। ঘটনার কথা প্রথমে তার বিশ্বাস হয় নি। পরে এই বিষয়ে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেও সে অস্বীকার করে। তবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য মিনা দেবী সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সম্প্রতি সে তার সৎ মেয়ের সাথে তার স্বামীকে জোর জবরদস্তি শারীরিক সম্পর্ক করতে দেখে এবং সে তার স্বামীকে এই ধরণের খারাপ কাজ করতে বারণ করলে সে ওইরকম সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। উপরন্তু তার কথা না শুনে উল্টে তাঁকে নোংরা ভাষাতে গালি গালাজ করতে শুরু করে। দুপুর বেলায় মিনাদেবী যখন লোকের বাড়িতে কাজে যেত। সেই সময় ফাঁকা ঘর পেয়ে তার স্বামী তার নাবালিকা সৎ মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো জোর করে। পরে অসহায় ওই নাবালিকা কন্যা সৎ মা বাড়ি ফিরলে তাঁকে সব ঘটনা জানাতো। তার স্বামীকে হাতেনাতে ধরার জন্য ২০২২ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখ ও ১৮ তারিখ দুপুরে মিনা সাউ বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। তার স্বামী তার মেয়ের সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও তার মোবাইল ফোনে তুলে নেয়। যাতে পরে তার স্বামীকে বললে সে অস্বীকার করলেই যাতে সেটা প্রমান হিসাবে তার স্বামীকে দেখাতে পারে। এরপরও তার স্বামীকে অনেক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে নিজেকে শোধরায় নি। তাই তার নাবালিকা সৎ মেয়ের সাথে এইরকম খারাপ কাজ করার জন্য সে আজকে স্বামী কুন্দন সাউ – এর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবার জন্য লিলুয়া থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যদিও অভিযোগকারী মিনা দেবী অভিযোগ করেন লিলুয়া থানার পুলিশ তার থেকে পনেরোশো টাকা চান। কি কারনে এই টাকা তার থেকে চাওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি কিছু সদর দিতে পারেননি এবং পুলিশ তাকে কিছু জানায়নি পরের দিন টাকা নিয়ে থানায় যেতে বলেছেন বলে জানালেন মিনা সাউ। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ও ওই নাবালিকা সৎ মেয়ের বয়নের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কুন্দন সাউকে গতকাল গ্রেফতার করে লিলুয়া থানার পুলিশ। আজকে তাঁকে নিয়ে আদালতের পেশ করা হবে বলেই লিলুয়া থানা সূত্রে খবর।এই ঘটনায় নিজের পিতার হাতে অত্যাচারিত নেহা সাউকে গতকাল রাত ১০:০৫ মিনিটে লিলুয়া হোমে রাখার ব্যবস্থা করে লিলুয়া থানার পুলিশ।যদিও আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় থানার মধ্যেই তার বউ তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করেন ধৃত কুন্দন সাউ। ধৃত কুন্দন সাউয়ের বিরুদ্ধে পস্কো মামলা রুজু করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। হাওড়া আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেলে রাখার নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর
Howrah Liluah: নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পিতা
রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া