বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের দফায় দফায় খন্ডযুদ্ধ বাধে। ক্ষিপ্ত বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তবে এদিন অগ্নিগর্ভ হয়ে মহত্মা গান্ধী রোড। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিযানে যাবার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশ শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায়। এছাড়া শুভেন্দুকে বেআইনীভাবে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ করায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চ্যাটার্জি ও দীপক বর্মন, রাজ্য সম্পাদক দিপাঞ্জন গুহ, কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সী ও ব্যারাকপুর জেলার অফিস সম্পাদক প্রণব মন্ডলকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুভেন্দু আটক হবার অনেক পরে অবশ্য নবান্ন পৌঁছনোর আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ আটক করে। এদিন সন্ধেয় লালবাজার থেকে বেরিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ তিন আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, এবার আইনি লড়াই হবে। বেআইনিভাবে দলনেতাকে আটক করায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। অপরদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃনমূলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জারি থাকবে।
KOLKATA HOWRAH: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র কলকাতা-হাওড়া
রিপোর্ট : বিশ্বজিৎ নাথ , এই যুগ, কলকাতা