আগামী ১৫ই আগস্ট দেশ (Basirhat) আবার নতুন করে স্বাধীনতা দিবস পালন করবে বিগত বছরগুলির মতো। (Basirhat) কিন্তু ওদের নেই স্বাধীনতা, ওদের নেই আর পাঁচটা বাচ্চার মত বেড়ে ওঠার সুযোগ। (Basirhat) কারণ ওরা যৌনকর্মীদের সন্তান। সোনাগাছির পর রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌন পল্লী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মাটিয়া। সরকারি হিসাবে সেখানকার যৌনকর্মীর সংখ্যা প্রায় ১০০০।
যদিও বাস্তবে সংখ্যাটা অনেক বেশি(Basirhat)। রাজ্যের সমাজের আর পাঁচটা বাচ্চার মত এই যৌনপল্লীর শিশুরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। কারণ তারা যৌনকর্মীদের সন্তান। নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকারময় গলিতে তাদের বেড়ে ওঠা। কিন্তু তারাও তো চায় খেলতে আর পাঁচটা বাচ্চার মত পড়াশুনা করে সমাজ তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করতে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে।
কিন্তু সেই সুযোগ হয়ে ওঠে না ওখানকার অনেক বাচ্চারই। কারণ যৌনপল্লী থেকে বাইরে গিয়ে যখন তারা অন্য স্কুলে বা সমাজের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে চায় তখনই চলে আসে নানান ধরনের কটুক্তি। অন্য বাচ্চাদের অভিভাবকদের অনীহা সহ একাধিক ভর্ৎসনা। যা তাদের নাত্য দিনের সঙ্গী। তাই সেই সমস্ত কচিকাঁচাদের বেড়ে উঠতে তথা তাদের স্বাধীনতার পথ খুঁজে দিতে আগামী ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন তারা এক নতুন উপহার পেতে চলেছে। কারণ যৌনপল্লীর ভেতরে তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে পড়াশোনা সমস্ত রকম ব্যবস্থা।
বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস কে. এর নির্দেশে, (Basirhat) মাটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস ঘোষের সহযোগিতায় ও বসিরহাট দুর্বার সমিতির মাটিয়া শাখার উদ্যোগে বসিরহাটের বসিরহাট ২নং ব্লকের মাটিয়া যৌনপল্লীতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে এক শিক্ষাঙ্গন। যে অ্যাকাডেমি ওই সমস্ত যৌনপল্লীর যৌনকর্মীর সন্তানদের নতুন আলোর পথে নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
সেখানে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে এক বছর বয়স থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের শিকার ব্যবস্থা করছেন। আগামী দিনে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী অবধি ক্লাস চালু করে স্কুলটিকে বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের। ইতিমধ্যেই সেই স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য পাঠ্য পুস্তক, খেলার জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র সহ সমস্ত কিছুই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। যৌন কর্মীরা জানান, তারা তাদের সন্তানকে বাইরে পড়াতে গেলে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই এই ধরনের উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।