আজ রাত্রি সাড়ে নটার সময় হাওড়া স্টেশন (Howrah Station) থেকে বাজেয়াপ্ত প্রায় ৫০ লাখ টাকার সোনায় গয়না।(Howrah Station) হাওড়া স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ অফিসারদের কাছে গোপন সূত্র মারফত আগে থেকেই খবর ছিল।(Howrah Station) সেই মতো হাওড়া স্টেশনের পুরাতন কমপ্লেক্সে এক গোপন অভিযান চালায় আরপিএফ।আর সেই অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তির থেকে এই বিপুল পরিমাণে সোনার গয়না পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি বিহারের মোতিহারের বাসিন্দা।
তার চালচলন সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আরপিএফ-এর অফিসাররা। ওই ব্যক্তির অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাতে আরও সন্দেহ বাড়ে জিআরপির অফিসারদের। এরপর ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না। সব মিলিয়ে প্রায় ৮৫০ গ্রাম সোনা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪৯ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি নগদে ৪৩ হাজার টাকাও পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির থেকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে আরপিএফ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া স্টেশনে জিআরপি থানায়।ওই ব্যক্তিকে আটক করে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে থাকে আরপিএফ। এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার কোনও নথি সে দেখাতে পারেনি। ওই ব্যক্তির উত্তরেও মোটেই সন্তুষ্ট হননি আরপিএফ অফিসাররা। ওই ব্যক্তির দাবি, সে কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে ওই সোনার গয়না কিনে বিহারের বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে হাওড়া স্টেশনে এসেছিল।
কিন্তু গয়নার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সে। এরপর ওই ব্যক্তিকে কলকাতার কাস্টমসের অফিসারদের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ সোনা ও নগদ টাকাও জমা করে দেওয়া হয়েছে কাস্টমসের কাছে।উল্লেখ্য, এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবারও হাওড়া স্টেশনের পুরাতন কমপ্লেক্স থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছিল আরপিএফ। তাদের থেকে ২৫ কেজি রুপোর গয়না পাওয়া গিয়েছিল, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। জানা যাচ্ছে ওই ব্যক্তিরাও ওই প্রচুর পরিমাণে রুপোর গয়না বিহারের মুজফ্ফরপুরে একটি গয়নার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিল। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন কাস্টমস অফিসাররা।