
হাওড়া শহর মানেই অল্প বৃষ্টিতেই জলে ডোবার শহর। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই অভিযোগ করে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। তবে এবারে বিধায়ক তথা পৌরনিগমের অকর্মণ্যতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন খোদ শাসক দলের কর্মী। সাঁতরাগাছি চরক ডাঙ্গা এলাকা জল জমার জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধ। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে এক হাঁটু সমান জল জমে প্রতিবারেই। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যে গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কখনো ভারী অথবা মাঝারি মাপের বৃষ্টি চলছেই অবিরত সার রাত ধরেই। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের দিনেই সাঁতরাগাছি এলাকার চরক ডাঙ্গা দুজে রয়েছে জলে। এই এলাকাতেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের মতো সংস্থা। অফিস যাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়া সকলকেই এই জমা জলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি থামার পর তিন চার ঘন্টা পরে জল নামা শুরু হলেও মাঝের সময় এই এলাকার মানুষকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এটাকেই অদৃষ্ট হিসাবেই মেনে নিয়েছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।ওই এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী তারক বন্দোপাধ্যায় (বাপি) অভিযোগ করে বলেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কখনো কোনো উন্নয়নের কাজ হয় নি। এখানে রাস্তাঘাট বলে কিছু ছিল না। নিকাশি নর্দমার হালও খুবই বেহাল। অনেক নেতা মন্ত্রীকে জানিয়েও কোনো কাজ হয় নি। তিনি কটাক্ষ করে বলেন এখানে ‘ব্যাঙের শৌচ কর্মেও’ জল জমে যায়। মহিলারা হাঁটুর উপরে কাপড় তুলে হাঁটতে বাধ্য হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হয়েও তিনি এই এলাকার সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। যদিও হাওড়া শহরে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গির আতঙ্কে তঠস্থ হয়ে আছে হাওড়া শহরবাসী। তারই মধ্যে নতুন করে বৃষ্টির জল জমাতে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই চিন্তিত এলাকাবাসী।