অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় চোর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই তিনিও নাটক করতে ভালোবাসেন।। নাটক করতে তিনি শনিবার কাঁথিতে গিয়ে গ্রামবাসীরা তার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জানান ।তারই পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চল সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলেন। গ্রামের মানুষের কথা কে প্রাধান্য দিতে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ বলেন যে ওরা ছোট চোর তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো ।কিন্তু যারা বড় চোর তাদের ক্ষেত্রে আগামী দিনে ব্যবস্থা নেবেন। অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি জানান বীরভূমের মানুষ অনুব্রত মন্ডল কে দেখে শিখুন। চুরি করলে কি হয়? কিভাবে তার বর্তমান পরিস্থিতি ।তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল কেও বাবার কর্মফলে তাকেও দিল্লিতে ছুটে যেতে হচ্ছে ইডি দপ্তরে। ডিসেম্বর মাসে এমন কিছু ঘটনা ঘটবে যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আশা করতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথার সমঞ্জস্য রেখে তিনিও ডিসেম্বরের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন হয়তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে গ্রেফতার করা হতে পারে কয়লা-পাচারের অভিযোগে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তার কারণ ছিল তৃণমূলের সন্ত্রাস ।এবার সব আসনে তারা প্রার্থী দেবে। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করবে। আগামী দিনে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে সেই দিকেও তিনি এখন থেকেই গুটি সাজাতে বলেছেন। বীরভূম জেলার যে সমস্ত বিজেপির নেতা নেত্রীরা রয়েছেন তাদের এমনই নির্দেশ তিনি দিয়েছেন।সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর সেই পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির যোগ করে আসরে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ।একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শতাব্দী রায় ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা নেতৃত্ব গ্রামে গ্রামে মিটিং সারছেন জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ।সেখানে বিজেপিও পিছিয়ে নেই। জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য আজ সৌমিত্র খাঁ দলের ৪০ জন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বোলপুরে মাকনুডুল লজের সভাকক্ষে । বিজেপির জেলার নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন এই সভায় ।সৌমিত্র খাঁ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কার্যপ্রণালী ঠিক করতেই তার এই বোলপুর সফর বলে মনে করা হচ্ছে। সৌমিত্র খাঁ সভা শেষ করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি পরিষ্কার ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে একপ্রকার তুলোধোনা করলেন।
Saumitra Khan: পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে অভিষেক কে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ র
রিপোর্ট : দিব্যেন্দু গোস্বামী , এই যুগ, বীরভূম