Breaking News

Basirhat: ভালোবাসার টানে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ১৫ দিন প্রেমিকা,পলাতক প্রেমিক ও শ্বশুর

রিপোর্ট : হাসানুজ্জামান , এই যুগ, উত্তর ২৪ পরগনা

প্রেমিকার (Basirhat) কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষ টাকা ৫,ভরি সোনা নিয়ে চম্পট প্রেমিক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট দক্ষিণ নেওড়া গ্রামে। (Basirhat) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে বাঁকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নেওড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২২ এর আলিফ মন্ডল পেশায় দর্জি মিস্ত্রি, তার সঙ্গে ফেসবুক ফোনে আলাপ হয় বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার বানমোড়া গ্রামের বছর ২৫ এর সাবিনা খাতুনের সঙ্গে। (Basirhat) তারপর দীর্ঘ ৬ মাস মেলামেশা প্রেম ভালবাসায় তৈরি হয় এরপর আলীফ ও সাবিনা পরিবারের অমতে বসিরহাটে একটি জায়গায় সামাজিকভাবে বিয়ে করেন।Basirhat: ভালোবাসার টানে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ১৫ দিন প্রেমিকা ,পলাতক প্রেমিক ও শ্বশুর

এখানেই বিপত্তি (Basirhat) শুরু তারপর ছেলে বৌমাকে মানতে নারাজ মন্ডল পরিবার।বারবার আসলেও তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি ভয়ও দেখানো হয় শেষ ১৫, দিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে রৌদ্র ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঠায় বসে থাকে। এই দেখে গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে একটি সালিশি সভা করলেও কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। বধু বাড়িতে আসায় ,ঘরে তোলার ভয়েতে স্বামী ও শ্বশুর তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত বাড়ি ফিরিনি। গ্রামবাসীদের কাছে বারবার দাবি করে তিনি বিয়ে করেছেন তাকে মানতে চাইছে না শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমনকি ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না তারপর বধু বাধ্য হয়ে প্রেমিকের ঘর দখল করে নেয়। এরপরে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন কিন্তু বধূর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কোনমতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে যাবে না।

শাশুড়ি মেরুদা বিবি বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘরের মধ্যে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে খেতে দেওয়া তো দূরের কথা এমনকি শৌচালয় যেতে দিচ্ছে না। পাশাপাশি বধুর গর্ভে দু মাসের একটি ভ্রুণ তৈরি হয়েছিল সেটাও পরিকল্পনা করে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যা করতে বাধ্য করিয়েছে।। এই খবর জানতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামের মানুষ ওই বধু যাতে দুবেলা খেতে পারে তার জন্য তালা-বাসন চাল ডাল রান্না করার গ্যাস কিনে নিয়েছেন।

গ্রামবাসীরা চাইছেন ছেলে যখন বিয়ে করেছে সে মহিলাকে তারা ঘরে নিক শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বামী-স্ত্রী সংসার করুক। কিন্তু শাশুড়ি এই বিয়ে মানতে নারাজ এই বিয়ের কোন প্রমাণ নেই সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছেলের থেকে মহিলার বয়স বেশি এর আগেও ওই মহিলার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। টাকা পয়সা সোনা গয়না ওই মহিলা ছেলেকে দিয়েছে সেটা মিথ্যে কথা, এমনকি গর্বের ভ্রূণ হত্যা হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। আমরা এ বিয়ে মেনে নেব না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।