Breaking News

Kubbra Sait: ঠোঁটের উপর ওর ঠোঁট ধরে বসে, যৌন নিগ্রহের শিকার অভিনেত্রী

প্রায় দুই দশক পর যৌন হেনস্থার মতো দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী কুবরা লিখেছেন, মায়ের ‘বিপদের বন্ধু’ সেজে পরিবারের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এক ব্যক্তি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে, তার হাতে একাধিকবার যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। প্রায় আড়াই বছর ধরে এই অভিজ্ঞতা সইতে হয়েছিল তাঁকে। মুখ ফুটে মাকে বলার মতো সাহস হয়নি তাঁর। কারণ অভিনেত্রীর পরিবারকে শেষ করে ফেলার হুমকিও নাকি দিতেন ওই ব্যক্তি।”সেক্রেড গেমস” খ্যাত অভিনেত্রী কুবরা সাইত। ওয়েব সিরিজে ট্রান্স মহিলা কুকু-র চরিত্রে অভিনেয় করেছিলেন তিনি। ‘ওপেন বুক: নট কোয়াইট আ মেময়ার’ নামে বইয়ে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তিনি।এই বিষয় বিস্তারিত ভাবে নিজের বইয়ে লিখছেন অভিনেত্রী I সেই সময় প্রায়শই বেঙ্গালুরুর একটি রেস্তোরাঁয় পরিবারের সঙ্গে যেতেন তিনি। সেখানকার মালিকের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে। ওই ব্যক্তি অভিনেত্রীর মাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন। সাহায্যের পরপরই ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করে। ওই ব্যক্তি বিবাহিত ছিলেন। এক সন্তানও ছিল তার। আড়াই বছরের মধ্যেই আরও এক সন্তান হয়।বইয়ের এক প্রচ্ছদে কুবরা জানিয়েছেন, তাঁকে সঙ্গে করে একদিন হোটেলে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন তিনি। ওই ব্যক্তি গালে হাত ঘষতে ঠোঁটের উপর ঠোঁট চেপে ধরে কুবরার। সেই সময় ভয়ে পেয়ে যান তিনি। চিৎকার করে পালাতে চেয়েও পারেননি। কিশোরী কুবরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন! লিখেছেন, ‘ও আমায় বোঝায়, ভালো লাগবে সবটা। বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত। আমার ঠোঁটের উপর ওর ঠোঁট ধরে বসে। আমাকে ঠেসে ধরে নিজের প্যান্ট খুলে ফেলেন। বুঝতে পারি, আমার যৌন হেনস্থা হতে চলেছে।’অভিনেত্রী বইতে আরও দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে অশান্তির জন্য পারিবারিক সাহায্য করাও বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি। এমনকি বিভিন্ন সময় তাঁর পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দিতেন। যদিও এ ক্ষেত্রে মায়ের বকুনিও খেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। যদিও সবকিছু সহ্য করে সেই সময় চুপ ছিলেন তিনি। এতদিন বাদে নিজের বইতে একথা ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। তার এই সাহসীকতার প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে বইয়ের প্রচ্ছদ । নেটিজেনরা অভিনেত্রীর পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে I

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।