কোহিনূর চা বাগানের সমস্যা দ্রুত সমাধানের আর্জি
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কোহিনূর চা বাগানের সমস্যা দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়ে জেলাশাসককে আবেদন জানালেন শ্রমিকরা। উল্লেখ্য দু’ হাজার বাইশ সালের ডিসেম্বর মাসের সাত তারিখ আলিপুরদুয়ার জেলার কোহিনূর চা বাগান শ্রমিকদের জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। (Alipurduar) ঐদিন শ্রমিকদের মজুরি দেবার কথা থাকলেও চা বাগান মালিক শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি না দিয়ে বিনা নোটিশে বাগান ছেড়ে চলে যান। অচলাবস্থা নেমে আসে বাগানে। সংকটাপন্ন শ্রমিকরা দ্বারস্থ হন শ্রম দপ্তরের। বাগানের অচলাবস্থা কাটাতে শ্রম দপ্তর কয়েকবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকে।
কিন্তু বাগান মালিক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক ভেস্তে যায়। (Alipurduar) অবশেষে ফেব্রুয়ারি মাসের পনেরো তারিখ শ্রম দপ্তর আয়োজিত শিলিগুড়ির বৈঠকে মালিক উপস্থিত হয়ে জানান তিনি শ্রমিকদের প্রাপ্য দিতে অপারগ এবং মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নতুন মালিককে বাগানটির দায়িত্ব তুলে দেবেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ
(Alipurduar) শ্রমিকদের অভিযোগ মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ কেটে গেলেও বাগান নতুন মালিককে হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের আরও অভিযোগ বাগান মালিক এর আগেও আরও তিনবার এভাবে বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি বাগানে যখন চা পাতা থাকে তখন বাগান চালু রাখেন কিন্তু চা গাছের পরিচর্যার সময় এলেই বাগান ছেড়ে চলে যান। শ্রমিকরা বলেন এই মালিক শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, জ্বালানী, মেটারনিটি সহ বিভিন্ন খাতের প্রায় কুড়ি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জেলাশাসককে আবেদন শ্রমিকদের
শ্রমিকদের পক্ষে কৃষ্ণ মাহালি জানান (Alipurduar) এদিন চা বাগান দ্রুত নতুন মালিককে হস্তান্তর করা, ফাউলাই প্রকল্পে প্রত্যেক শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, বর্তমান মালিকের লাইসেন্স বাতিল এবং চা বাগানের জমি চা বাগানের কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা চলবেনা এসব দাবি জানিয়ে চা বাগানের অচলাবস্থা দ্রুত দূর করার আবেদন জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। আআলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা জানান তিনি আবেদন গুলো বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়ে দেবেন।