সামান্য দুষ্টুমি করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা যা আজকের। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। ঘটনায় জানা যায় বোলপুরের কসবা অঞ্চলের পারুই থানার অন্তর্গত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যার নাম মালা প্রাথমিক বিদ্যালয় ।এই বিদ্যালয়ে এখনো পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। যেখানে সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে আরম্ভ করেছে। সেখানে এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে। সেখানে যদি শিক্ষকের এ ধরনের আচরণ হয় তাহলে আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরো কমে যাবে। স্কুল ছুট হবে অনেক ছাত্র-ছাত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বার বার বলছেন স্কুলছুট ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার কথা। সেখানে যদি এইভাবে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয় তাহলে এর দায় কে নেবেন? আর অভিভাবকরা এরকম স্কুলে ভর্তি বা কেন করবেন? এই প্রশ্ন সবার। ঘটনা প্রকাশ আজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিছোক মজা করার জন্য ক্লাস থেকে বেরিয়ে মাঠের মধ্যে হাজির হয়। সেখানে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। এর পরই ওই বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ পাইন সকলকে ক্লাসে যেতে বলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ও তার কথা অবাধ্য না হয়েই ক্লাসে এসে বসে পড়ে। এর পরই কঞ্চি নিয়ে এসে সকলকেই বেধড়ক মার মারে বলে অভিযোগ। কি কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এতটাই রেগে উঠেছিলেন যে সকলকে মারধর আরম্ভ করলেন? কারণ হিসাবে কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না ।কেবলমাত্র ছাত্রছাত্রী ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলেই প্রধান শিক্ষক তাদেরকে এইভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ।এতে আহত হয়েছে ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। যার মধ্যে সিয়ান হসপিটাল সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচজনকে হসপিটাল ভর্তি করে নিলেও বাকি ২১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা এই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ওই সমস্ত ছোট ছোট শিশুদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কি কারনে প্রধান শিক্ষকের এহেন আচরণ তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই সমস্ত ছোট ছোট কচি কাচারা। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে পাঠায় পড়াশোনা খেলাধুলো করার জন্য। এই সমস্ত বাচ্চারা দুষ্টুমি করবেই। কিন্তু এইভাবে তাদের ওপর কঞ্চি দিয়ে বেধরক মারধোর কেউই মেনে নিতে পারছেন না। অভিভাবকদের দাবি অবিলম্বে ওই প্রধান শিক্ষককে অপসারিত করতে হবে।
বোলপুরে ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
রিপোর্ট : দিব্যেন্দু গোস্বামী , এই যুগ, বীরভূম