উত্তর 24 পরগনার জেলা পরিষদ অভিযানে (DYFI) গ্রেফতার দশ কমরেডদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বামপন্থী যুব সংগঠন ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন DYFI ও SFI র ডাকে রাজ্যজুড়ে সমস্ত থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। (DYFI) ঠিক সেই মতন রাজ্যের বিভিন্ন থানার সাথে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানা ঘেরাও করে বাম ছাত্র যুব সংগঠন । সাতজনের এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেয় আউসগ্রাম থানায়।
পুলিশ সেই ডেপুটেশন এক প্রকার চাপে পরেই গ্রহণ করে বলা চলে। এদিন প্রতিনিধি দল যখন থানার ভেতরে ডেপুটেশন দিতে যায় ঠিক তখন থানার গেটের সামনে চলে তুমুল বিক্ষোভ কর্মসূচি।ছাত্র ও যুব র বিভিন্ন নেতৃত্ব কর্মসূচিতে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। ধিক্কার জানান রাজ্য পুলিশকে। তাদের মূল কথা রাজ্য পুলিশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে ঠিক যে পরিমাণ সক্রিয়, তা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে নয় । কাজেই পুলিশের এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে।
এক ছাত্রনেতা বলেন সমস্ত হিসেব খাতায় তুলে রাখা হচ্ছে, একদিন সেই খাতা খোলা হবে তখন ফর্দ আকারে সুদসহ পাওনা গুন্ডা মিটিয়ে দেয়া হবে পুলিশকে । অন্য এক ছাত্রনেতা পুলিশদের ভুড়ি কমানোর পরামর্শ দেন তিনি বলেন কাজ করা অভ্যাস করুন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখুন তৃণমূলের দালালি করবেন না কারণ এবার রাস্তায় নেমে কাজ আপনাদেরই করতে হবে , হাইকোর্ট সিভিক ভলেন্টিয়ার কে থাপ্পর দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। তার কথায় ছিল সিভিকদের উদ্দেশ্যে কটুক্তিও তিনি বলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা পড়াশোনায় মন দিন পরেরবার সরকারটা বামপন্থীদের হবে , বছর বছর পরীক্ষা হবে, বামপন্থী সরকার সিভিক নিয়োগ করবে না সুতরাং এখন থেকে পড়াশোনা শুরু করুন পরীক্ষায় বসার জন্য।
যুব নেতৃত্ব পিযূষ পাল বলেন সরকারটা চোরদের ,আর তাদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ । অবিলম্বে আমাদের কমরেডদের মুক্তি দিতে হবে। এভাবে বামপন্থী ছাত্র যুবদের আটকানো যায় না। আগামী লড়াইটা আরো কঠিন হবে বলে দীপ্ত কণ্ঠে জানান তিনি ।প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি চলার পর পুলিশ ডেপুটেশন গ্রহণ করলে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেয়া হয়।