Breaking News

Howrah: বাম প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের মিছিল হাওড়ায়

রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া

Howrah: বাম প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের মিছিল হাওড়ায়দীর্ঘ টানাপোড়েনের (Howrah) পরে কলকাতা উচ্চ আদালতের সন্মতির নির্দেশে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি রাজ্য কোঅর্ডিনেশনের কর্মীদের।(Howrah) বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সহ তিন দফা দাবির ভিত্তিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম প্রভাবিত সরকারি কর্মীরাবৃহস্পতিবার এই আন্দেলনের কর্মীরা ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়ে আগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে মেলেনি অনুমতি।এরপর অনুমতির জন্য কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কর্মী সংগঠন। অবশেষে বুধবার মিছিলের রুট পরিবর্তন করে নবান্ন অভিযানে অনুমতি দেয় আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশাসনকে রীতিমতো ভৎসনা করে এই মিছিলের অনুমতি দেন।

বৃহস্পতিবার (Howrah) হাওড়ার ফেরিঘাট থেকে বঙ্কিমসেতু হয়ে মহাত্মা গান্ধী রোড পেরিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি।(Howrah) যদিও তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত মিছিলের রুট বদল করেই কলকাতা উচ্চ আদালত নির্ধারিত পথেই যেতে হবেহয় তাঁদের।বিগত কয়েকমাস ধরে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।৪ মে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করার অনুমতি চেয়ে তারা এর আগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।Howrah: বাম প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের মিছিল হাওড়ায়

যদিও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধর্মতলা থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি না পেয়ে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয় যৌথ মঞ্চ। মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য জানায় যে রুটে মিছিল করার কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত ব্যস্ত এলাকা। ওই এলাকাতে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলের ছুটি হয়৷ শুধু তাই নয় এই মিছিলের দরুন ওই রুটে ট্র্যাফিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয় ওই রুটেই রয়েছে রাজভবন, হাইকোর্টের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবন। তাই এই মিছিল ওই রাস্তা দিয়ে হলে কার্যত কলকাতা নগরী অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। এছাড়াও নিত্য যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সকলের ভোগান্তি বাড়বে বলে দাবি করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তাই নতুন নির্ধারিত রুটে মেলে মিছিলের অনুমতি।বৃহস্পতিবার এই মিছিলে তিনটি দাবীকে সামনে রাখা হয়। যার মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দ্রুত রাজ্যে মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক বিভাজন বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয় এই মিছিল থেকে।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার  দিনের মিছিলের জন্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, ওই দিন দুপুর ২.৩০ থেকে ৪.৩০-এর মধ্যে মিছিল করতে হবে। হাওড়া ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল, বুধবার জানিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, জনবহুল এলাকায় মিছিল করলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। এতে বিচারপতি রাজ্যের প্রতিনিধিকে সরাসরি প্রশ্ন করেন ‘যে বিধিনিষেধের কথা আপনারা বলছেন, সেটা রাজ্যের শাসক দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তো? রেড রোড বন্ধ করে যখন কর্মসূচি হয়, মিছিল হয়, তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?’ এরপরে শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলা হলে বিচারপতি বলেন, ‘শাহিনবাগের ক্ষেত্রে দিল্লি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই সুপ্রিম কোর্টকে কিছু পদক্ষেপ করতে হয়। এখানে বিষয়টা সেরকম নয়।’ সঙ্গে এও বলা হয়, ‘এরা আপনাদের অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মচারী। এরা কী চাইছেন? মহার্ঘ ভাতা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে অসুবিধা কোথায়? বিরোধিতা করা বা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন, কিন্তু শান্তিপূর্ণ মিছিল বন্ধ করতে পারেন না। স্কুল, কলেজ, অফিস আছে বলে মিছিলের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা যায় না। আন্দোলনকারীরা তো দেখাতে চান তাঁরা কতটা অসুবিধার মধ্যে আছেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো আন্দোলন করতে বারণ করেনি।’ এভাবেই আদালতের বিচারপতি তীব্রভাবেই ভৎসনা করেন রাজ্যের প্রতিনিধিকে। অবশেষে বুধবার ৪মে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যে মামলা করেছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ কয়েকটি সংগঠন। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।