Breaking News

Howrah: নিখোঁজ সাঁকরাইলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার মেদিনীপুর থেকে

রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া

Howrah: নিখোঁজ সাঁকরাইলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার মেদিনীপুর থেকে টানা সাতদিন নিখোঁজ সাঁকরাইলের যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার মেদিনীপুর থেকে। প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের জেরেই খুন বলেই দাবি পরিবারের। এলাকায় শোকের ছায়া। জগদ্ধাত্রী পুজোতে হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইলে আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন হায়দ্রাবাদ নিবাসী সঞ্জু রায়(২৮)। পুজোতে দক্ষিণ সাঁকরাইল বিদ্যুৎ সংঘের মাঠ এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলো সঞ্জু। পড়াশোনা ও চাকরি সূত্রে হায়দ্রাবাদেই কেটেছে তাঁর।‌গত মাসের ২৮ তারিখ রাতে জন্মদিনের কেক কাটার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান সাঁকরাইলের সঞ্জু রায়। আর তারপর কেটে গেছে প্রায় সাতদিন। রবিবার রাত্রে নিখোঁজ সঞ্জুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় উলুবেড়িয়া মর্গ থেকে। সাঁকরাইল থানা থেকে মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। মৃত দেহের হাতে স্টিলের ব্রেসলেট ও পায়ের জুতো দেখে ওই দেহ সঞ্জু বলেই সনাক্ত করে তাঁর পরিবার। যদিও পরিবারের অভিযোগ তাঁর মুখে ক্ষতের চিন্হ ছিল। গোটা মুখ রক্তে ভরে গেছে। পাশাপাশি তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও এখনও উদ্ধার হয় নি। সঞ্জু রায়ের মৃত্যু আত্মহত্যা নয় বরং হত্যা বলেই অভিযোগ করেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।পুলিশ ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও পরিবারের সদস্যরা সরাসরি অভিযোগ করছেন হত্যা করা হয়েছে তাঁদের সঞ্জুকে। পরিবার সূত্রে দাবি মৃত সঞ্জুর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ সুস্মিতা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। পুজোতে ভাসানের সভাযাত্রাতেও দুজনকে একসাথে নাচতে দেখা গেছিলো। এছাড়া পূজার সময়েও তাঁদের এক সঙ্গে ঘুরতেও দেখা গেছিলো বলেই পরিবার সূত্রে খবর। ওই সম্পর্কের জেরেই তাঁদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলছেন পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের সদস্য কুসুম হাজরা দাবি জানান সঞ্জুর সঙ্গে স্থানীয় একটি মেয়ের এগারো বছর সম্পর্ক ছিল। সঞ্জু বিগত দুই বছর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। এরপর সে যখনই সাঁকরাইলে আসতো মেয়েটি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতো, ফোন করতো ও দেখা করার চেষ্টা করতো। যদিও সে হায়দ্রাবাদ চলে গেলে আর যোগাযোগ রাখতো না। কুসুম হাজরা আরও দাবি করেন সে যদি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যাই করতো তাহলে তাঁর মুখ কি ভাবে থেঁতলে গেলো। তিনি চান পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করুক ও এই ঘটনায় যুক্তদের কঠোর শাস্তি দিক।প্রসঙ্গত ২৮ অক্টোবর রাত্রে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় ছিল গোটা পরিবারের সদস্যরা। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সাঁকরাইল থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ওই যুবকের খোঁজ করা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনার দিন রাত্রি দেড়টা নাগাদ তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ফোন এলে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর অনেকক্ষণ কেটে গেলেও সে ফিরে না আসায় তাঁর সন্ধানে বেরোয় পরিবারের সদস্যরা। তবে অনেক খুঁজেও কোথাও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। যদিও পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘটনার দিন রাত্রে বাড়ির সামনের মাঠে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে কেক কাটা চলছিল। রাত্রি দেড়টা নাগাদ সঞ্জুর মোবাইলে একটি ফোন আসে। সে ফোন ধরে একটু দূরে গিয়ে অনেক্ষন কথা বলতে থাকে। এরপর সে সেখান থেকে চলে যায়। রাত্রি তিনটে পর্যন্ত তাঁর ফোন ব্যাস্ত পায় পরিবারের সদস্যরা। তাঁর পর থেকেই মোবাইল বন্ধ রয়েছে তাঁর। সঞ্জু হায়দ্রাবাদ থেকেই পড়াশোনা ও চাকরি করতো। জগদ্ধাত্রী পূজো উপলক্ষে হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইলে এসেছিলো ছুটি কাটাতে। তাঁর বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিচয়পত্র ও অপর একটি মোবাইল বাড়িতেই রেখে বেরিয়েছিল সে বলেই জানা যাচ্ছে। হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে সঞ্জুর মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার রাত্রে কার ফোন পেয়ে সে বাইরে গেছিল। পাশাপাশি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জুর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল চিহ্নিত করার কাজও করা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে সাঁকরাইল থানা সূত্রে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।