হাওড়া শহরের (Howrah) মধ্যেই পুলিশ মর্গ, যার দূষণ এই মুহূর্তে শহরের সব থেকে বেশি মাথাব্যথা | (Howrah) দূষণের জেরে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন অনেকেই | (Howrah) সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনেরও | (Howrah) একদিকে গন্ধে অতিষ্ট মানুষজন এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হাসপাতাল ও বিভিন্ন জায়গা থেকে মর্গে মৃতদেহ নিয়ে আসার প্রক্রিয়া | খোলা রিক্সা ভ্যানে দিনের ব্যস্ত সময়ে রাস্তার ওপর কোনো রকমে চাদর ঢাকা দিয়ে দেহ বাহন যা সমাজে দৃশ্যদূষনের সাথে সাথে পরিবেশের বায়ু দূষণও বাড়িয়ে দিচ্ছে |
এমনকি হাওড়া পুলিশ মর্গে সর্বোচ্চ ৪০ টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা থাকলেও দেহ রাখা হয় কয়েকগুন বেশি , এই দেহ রাখার সংখ্যা নিয়ে সমস্যা স্বীকার করে নেন মূল্যা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ( CMOH) |ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত দেহ সংরক্ষণ ও মৃত দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার পক্রিয়ার বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারপতি বড়োসড়ো নির্দেশিকা প্রদান করেছে | এমনকি সভ্যসমাজে দেহ নিয়ে যাওয়ার পক্রিয়া নিয়েও জেলা অধিকারীদের ভূমিকা কে ভর্ৎসনা করেছেন | চলতি মাসের পাঁচ তারিখের নির্দেশ প্রদানের পরও একই ভাবে চলছে সেই পক্রিয়া |
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, হাওড়া জেলা শাসক কে ১৫ দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে | নির্দেশে বলা হয়েছে এই পুলিশ কমিশনার, CMOH , হাওড়া পুরসভা কেও এই তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে | মর্গের সামনেই রয়েছে হাওড়া জেল সংশোধনাগার, রয়েছে পুলিশ আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বাসস্থান সহ কয়েক হাজার মানুষের বাস | তার মধ্যেই ভুর করে রাখা মৃতদেহ, পচন ধরা মৃতদেহের গন্ধে অতিষ্ট মানুষ | এই অধিক মৃতদেহ রাখার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন CMOH নিতাই চন্দ্র মন্ডল | তার দাবি, হাওড়া শহরের পরিচয়হীন মৃতদেহের সংখ্যা বেশি হাওয়ায় সমস্যা |
মৃতধা যেই ঠিকাদার সংস্থা সৎকার করে তাদের গড়িমসির কারণেই দেহ জমতে থাকে | ঠিকাদাররা যে টাকা পায় তাতে একসঙ্গে ১০০ বেশি দেহ না হলে তারা সৎকার করে না | এই নিয়ে বহুবার মিটিং করলেও মেটে নি সমস্যা | এই দেহ সৎকারের জন্য টাকা দেয় জেলা শাসক ও হাওড়া পুরসভা | CMOH আরো দাবি করেন, মর্গ ও দেহ বহন কোনোটাই স্বাস্থ্য দফতরের কাজ নয় | পুরোটাই পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাজ | একে ওপরের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের দায় সারতে চাইছেন | এই ঘটনা গ্রীন ট্রাইবুনালের সামনে আসায় কিছুটা হলেও আসায় বুক বাঁধছে হাওড়াবাসি | তবে কবে এই নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে কেউ জানে না |