পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Jalpaiguri) পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত। (Jalpaiguri) খাতায় কলমে ফলাফল প্রকাশিত হলেও বহু পঞ্চায়েতেই কারচুপির অভিযোগে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তেমনই একটি মামলার শুনানিতে উঠে আসা তথ্য দেখে বিচারপতিকে বলতে শোনা গেল, ভয়ংকর প্রবনতা! জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির শাকোয়াঝোরা- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে ৪৭ টি ব্যালট উদ্ধার হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন শাহনাজ পারভীন নামে এক প্রার্থী।
তাঁর অভিযোগ, ভোটে কারচুপি হয়েছে। গতকাল এই মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুনানিতে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট বুথে মোট ২৮৯ টি ভোটগ্রহণ করা হলেও গণনা পর্বে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২৯৬! কীভাবে ৭টা ভোট বেড়ে গেল, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। সূত্রের খবর, তখন বিডিও আদালতের কাছে দাবি করেন, ‘প্রার্থী নিজেই ব্যালট লুকিয়ে রেখেছিলেন পরে বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবেন বলে!’ পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি জানতে চান, ‘প্রার্থী ভোটে দাঁড়ায় জেতার জন্য, ব্যালট বাড়িতে রেখে দিয়ে কি হবে?’সওয়াল জবাবের শেষে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট বুথ থেকে যে ব্যালট হারিয়ে গিয়েছিল তা জানতেনই না বিডিও! এরপরই সংশ্লিষ্ট মামলায় প্রিসাইডিং অফিসারকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শুনানির পরবর্তী দিন অবশ্য এখনও জানা যায়নি।