লোকসভা (Mamata Banerjee) নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একের পর এক মিথ্যা ভাঁওতা দিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য এই রাজ্যের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলার জন্য ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রীকে ভাল করে গেঁথে দিন।’
(Mamata Banerjee)শনিবার হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে হাওড়ার বড়গাছিয়া হাসপাতাল মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন। এদিন ভিড়ে ঠাসা জনসভায় তিনি খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। (Mamata Banerjee) তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভাষায় বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা ভাঁওতা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে বলছেন, রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল দিচ্ছে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং রান্নার গ্যাস দিচ্ছে। অথচ বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবার জন্য জায়গা দেওয়া থেকে শুরু করে পাইপ লাইন পোঁতা এবং রক্ষণাবেক্ষণে রাজ্য সরকারের বদ্ধকৃত অর্থের সবটাই রাজ্য সরকার করেছে। অথচ ওরা বলছে কমিউনিটি কানেকশনের মাধ্যমে জলের উপর ট্যাক্স বসানো হবে। সেই টাকা প্রধানমন্ত্রীর খাতে জমা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লিতে জল কিনতে হয়।
তিনি বলেন, জলের অপর নাম জীবন। তাই তাঁরা কখনওই এ রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে জলের জন্য কোনওরকম টাকা নেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর কাছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার টাকা নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লক্ষ লক্ষ কোটি চুরির টাকা রয়েছে, তাই তাঁরা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। ওনার ফাইল খুললেই সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এদিন মমতা বলেন, তিনি এ রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না। এ রাজ্যের মানুষ সকলে মিলে মিশে রয়েছেন। তারা সেরকমই একসঙ্গে মিলেমিশেই থাকবেন। মমতা বলেন, রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেশন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের বরাদ্দকৃত অর্থ গত দু’বছর আটকে রেখেছে। সেই টাকাও রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে তাঁরা রাজ্যের মানুষদেরকে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার রেশন দিচ্ছেন। ওরা গরিবদের টাকা নিয়ে ভোটের জন্য বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচা করে।
তিনি বলেন, এদের মান সম্মান, চরিত্র, ভদ্রতা, সততা বলে কিছুই নেই। তাই এতো মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। এরা হল, ‘ভাজপা ওয়াশিং মেশিন’ কালো হয়ে ঢোকে আর সাদা হয়ে বেরিয়ে আসে। ‘এরা চাকরি খেকো বাঘ’। এরা মহিলাদের সম্মানও খেয়ে নেয় বলেও মন্তব্য করেন মমতা। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কল্যাণ ঘোষ, সুবীর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।