বিগত কয়েক বছর ধরে শ্মশানেই থাকতেন জগৎবল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী দাস। নিজের সন্তান কাজের সূত্রে অন্যত্র থাকে। স্থানীয় সূত্রে খবর মহিলার ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। জগৎবল্লভপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকাতে ২জন সন্তানের বাড়ি। অভিযোগ শ্মশানের কাছে করুণাময়ী আশ্রমের মন্দিরে তাঁর উপরে পাশবিক হামলা চালায় এলাকার এক বাসিন্দা সুভাষ খাঁড়া। এলাকাতে রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করে সুভাষ খাঁড়া বলেই জানা যাচ্ছে। গত বুধবার রাত্রের মদ্যপ অবস্থায় সে চড়াও হয় সরস্বতী দাসের উপরে। তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন বলেই অভিযোগ সরস্বতী দাসের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনার কথা জানতে পেরে তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন তাঁর বড় ছেলে সনৎ দাস মহিলাকে প্রথমে জগৎবল্লভপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের তরফ থেকে ঘটনার লিখিত বিবরণ জগৎবল্লভপুর থানাতে জমা করা হয়। নির্যাতিতা র পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুভাষ খাঁড়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে বলেই থানা সূত্রে খবর । ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বড় ছেলে সনৎ দাস জানান তার মায়ের উপরে মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক নির্যাতন চালায় ও চুলের মুঠি ধরে তাঁকে টানতে টানতে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর তার মাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচৈতন্য করে রাখা হয়। তার অভিযোগ শ্মশান কমিটির সদস্যরা ঘটনার কথা জানলেও কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ তিনি সব জানতে পারেন। তিনি এসে মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর কিছুদিন আগেও ওই ব্যক্তি এই ধরণের কাজ করার চেষ্টা করেছিল বলেই তিনি জানান।আজকে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে হাওড়া হাসপাতালে দেখা করতে আসেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। তিনি ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন ও তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি এই নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনকে তিনি কটাক্ষ করে বলেন ওই ব্যক্তির নামে এর আগেও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন ছেড়ে রাখা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
Tanuja Chakraborty Howrah: জগৎবল্লভপুরের নির্যাতিতা বৃদ্ধা মহিলার সাথে হাসপাতালে দেখা করলেন রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী
রিপোর্ট : শুভাশীষ দত্ত , এই যুগ, হাওড়া