Breaking News

Titagarh: টিটাগড়ে গণধর্ষণ কান্ড ঘিরে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধৃত চার বিজেপি কর্মী

রিপোর্ট : বিশ্বজিৎ নাথ , এই যুগ, ব্যারাকপুর

Titagarh: টিটাগড়ে গণধর্ষণ কান্ড ঘিরে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধৃত চার বিজেপি কর্মীটিটাগড় পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লা ডিপো নিউ লাইন এলাকায় বুধবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, বাড়ির সামনে থেকে চার মদ্যপ যুবক মুখ চাপা তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাছেপিটে ঝোপে গণধর্ষণ করে। পরদিন বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিত-সহ তাঁর বাবা-মাকে পুলিশ গাড়িতে চাপিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছিল। থানার সামনে দাঁড়িয়ে তখন কয়েকজন বিজেপি কর্মী জিজ্ঞেস করে ওদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, টিটাগড় থানার পুলিশ ব্যারাকপুর মন্ডল ১ ও ২ সভাপতি যথাক্রমে প্রিয়ব্রত সিনহা চৌধুরী ও ধরম পাল প্রসাদ, ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কো-কনভেনার রবীন্দ্র সিং-সহ চারজনকে আটক করে। যদিও পরে চারজনকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার ঠাকুরমাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় ঢোকার চেষ্টা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, তাদেরকে থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই থানার সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার মহিলা মোর্চা ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কিছুক্ষন বাদেই পুলিশ সেই অবরোধ তুলে দিলেও, ফের তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করে সেই অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে মাথা ফেটে যায় ব্যারাকপুর জেলার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সম্পাদক রোহিত সাউয়ের। পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের রোহিত সাউ-সহ চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে অবরোধে সামিল হয়ে নির্যাতিতার ঠাকুমা বিমলা সাউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি বলেন, থানায় পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি বলে নাতনিকে নিয়ে ওর বাবা-মা বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। কিন্তু তারপর ওরা বাড়ি ফেরেনি। ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র বলেন, পুলিশ ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। নির্যাতিতা ও তার বাবা-মাকে অন্য কোথায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় পুলিশ দলীয় কর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করেছে। তাতে ১০-১২ জন মহিলা অল্প-বিস্তর আহত হয়েছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে টিটাগর পৌরসভার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা কমলেশ সাউ বলেন, অপরাধীরা কেউ ছাড়া পাবেন না। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যারা ঘটনায় জড়িত। তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশের লাঠিচার্জের বিষয়ে পুরপ্রধান বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হলে, পুলিশ লাঠিচার্জ তো করবেই। মেয়েটির নিখোঁজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা টিটাগড়েই আছে। সম্ভবত কোনও আত্মীয় বাড়িতে রয়েছেন ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।