ঘড়ির কাঁটা তখন ইঙ্গিত করছে বেলা ১২ টা বাজে। (Literary event) কলেজ স্ট্রিটের ঐতিহ্যবাহী বেঙ্গল থিওসফিক্যাল সোসাইটির মঞ্চে তখন সাহিত্যের রঙিন সমারহ ।(Literary event) বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সভাঘরে উপস্থিত লেখক লেখিকারা , পেজ মেম্বাররা , সর্বোপরি আগামী সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা । (Literary event) প্রায় ছয় ঘন্টার অনুষ্ঠান বাংলার বই পাড়ার জগতে বিরল বলাই চলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা শর্মিষ্ঠা মিত্র সেনগুপ্ত , কবিতার জগতের পরিচিত মুখ বিশিষ্ট কবি কৌশিক গাঙ্গুলি, নৈবেদ্য প্রকাশনীর কর্ণধার মৌসম মুখার্জি সহ বিশিষ্টজন।মঞ্চ থেকে উঠে আসে একগুচ্ছ দাবি । যা বাঙালি কে ভাবতে শেখায় । যাদের উদ্যোগে এই মহৎ অনুষ্ঠান খোলা চিঠির অন্যতম পরিচিত মুখ শুভম মুখার্জি বলেন প্রান্তিক স্তরের লেখক লেখিকা থেকে শুরু করে সব ধরনের শিল্প ও শিল্পী কে ব্যবসার আলোকে নয় বরং প্রকৃত শিল্পের অর্থেই খোলা চিঠি দেখে এবং তাদের পাখা মেলে ধরতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতে যারা শিল্প ও শিল্পীকে ব্যবসার পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাদের গালে চড় হয়ে শিল্পের কদর শেখাবে খোলা চিঠি।
বিশিষ্ট কবি কৌশিক গাঙ্গুলি – বলেন খোলা চিঠির অনুষ্ঠানে র সাফল্য কামনা করি। এরাই বই পাড়ার তথাকথিত ব্যবসায়িক কবিদের চোখে চোখ রেখে সাহিত্যকে এক নতুন আঙ্গিনায় তুলে ধরতে পারবে আশা রাখি।সমগ্র অনুষ্ঠানে পেজ হিসেবে অংশগ্রহণ করে ঝাল মুড়ি, বেলা শেষের আগে, হুজুগে বাঙালি, জেনন, লেখনি চিরন্তন , বে রঙিন কলম , সৌনীতা।মঞ্চে জীবনের লড়াই তুলে ধরে টিম ঘুঙুরুর নৃত্য পরিবেশন ।মঞ্চে একটু অন্য ভাবধারার উন্মেষ ঘটান এই যুগ সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক মনিপুষ্পক। তুলে ধরেন বাঙালির নবজাগরণের কথা। বাঙালির সংস্কৃতিক শক্তির কথা যা সমগ্র বিশ্ব সমীহ করে চলতে বাধ্য। সভা ঘরে বাঙালির জাতীয়তাবাদকে তিনি অত্যন্ত অভিসারে তুলে ধরেন ।মঞ্চে বিশিষ্ট লেখিকা শর্মিষ্ঠা মিত্র সেনগুপ্ত সহ প্রমুখ ব্যক্তিত্বের কথায় ও ছিল বাঙালির কথা বাঙালির আবেগ ।খোলা চিঠির ফাউন্ডার অর্পণ দাসের হাতে স্মারক তুলে দেন শুভ মুখার্জি ।খোলা চিঠির স্পার্ক ১.০ মঞ্চ আগামীর পথ দেখাবে তা বলাই বাহুল্য।