শীর্ণ শাখে আদর মাখে রূপসী ওই চাঁদ নদীর জলে জোৎস্না গলে বইছে খুশির বাঁধ। পাতা ঝরা শুকনো মরা গাছে জাগে সুর আশা জাগে নব রাগে জাগবে সুখ ভরপুর। আবছা ছায়ায় চাঁদের মায়ায় জাগছে হৃদে গান সোনার থালায় ফুলের মালায় কি অপরূপ তান। মানিক জোড়া আয়রে তোরা দেখবি যদি আয় বিকেল বেলা চাঁদের খেলা উছলে ওঠে হায় । ( ২ মার্চ …

ফাগুন মাসের রূপের আগুন ঘায়েল করে মন মনটা আমার বাউল হয়ে গায় যে সারাক্ষণ। ফুলের বনে প্রজাপতির কাটায় সারাদিন সর্ষে ক্ষেতে অলিরা সব বাজায় মধুর বিন। ঝিরিঝিরি হাওয়া মাঝে ঝরা পাতার গান পলাশ ফুলের রঙের বাহার ভরে উঠে প্রাণ। সকাল বেলা শিশির খেলা সবুজ ঘাসের সুখ শিমুল বনের মিষ্টি সুবাস পেতে যে উন্মুখ। [বুধবার , মার্চ 1 2023]

তাঁতির বাড়ি পোষা বিড়াল রঙ লাল ও কালো, সকাল সন্ধ‍্যে ইঁদুর মাছ ভোজন বড়ই ভালো। সন্ধ‍্যে বেলায় বিড়াল ভায়া পুকুরে দেয় উঁকি! চুনোপুঁটি থাকলে ধারে নেয় যে একটু ঝুঁকি! খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে পুষল খাসি ছাগল, কোন্ ভয়েতে পিষলো তাকে তাঁতি হলো পাগল! কয়েক হাজার কয়েন পেয়ে তাঁতি বজায় খুশি, সাগর দিঘির গ্রামটি নামের তাঁতিবিড়াল পুসি। খাসি চাপায় কম জরিমানা! …

ফাগুন এবং চৈত্র মিলে বসন্ত হয় এই বসন্তই ঋতুর রাজা, গাছে গজায় নতুন পাতা,ফুলও ফোটে দেখো চেয়ে আছে তাজা। মধুসুরে কুহুকুহু কোকিলের ডাক শুনতে কার না ভালো লাগে, প্রকৃতিকে নতুন রূপে নতুন সাজে দেখার কার না ইচ্ছে জাগে। শীতের পরেই এই বসন্ত চলে আসে বয়ে যায় রে দখিন হিমেল হাওয়া, ছয়টির ঋতুর সেরা ঋতু এই বসন্ত এই ঋতুতেই নতুন কিছু …

প্রসন্ন রোদের তীব্র প্রখরে ঘামে ভেজা ক্লান্ত দেহ, পানির পিপাসা হৃদপিণ্ডটা উষ্ণতা চৌচির দেখে না কেহ। রোদের তাপে উত্তপ্ত বালুচর একফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষা, পানির শূন্যতা জমির ফসল সবই নিয়তির নির্মম পরিক্ষা। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতাগুলো রোদে শুকিয়ে হয়েছে একাকার, বিনা বাতাসে পাতা পড়ছে লুটিয়ে মানবের পৃষ্ঠে ঝরাপাতা চুরমার। ( ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার )

ইট পাথরের দালান ঘর’টা চাইনা যে এই ভবে. একটুখানি জায়গা দিও শুয়ে থাকবো তবে। পাপের ঝুঝা এতো ভারী সময় দিচ্ছে বলে পূর্ণ টুকু তলিয়ে যায় পাপের চাপে তলে। আমার পাপের জন্য প্রভু ক্ষমা আমি চাই আপনি ছাড়া ক্ষমা করার আর যে কেহ নাই। সুখের মাঝে অসুখ ঘেরা আমার কর্ম ফলে একটুখানি পথ ও দেখাও হেঁটে যাবো চলে। শূন্য ঝুলি পরিপূর্ণ …

প্রকৃতির মাঝে বইছে ঋতুরাজ বসন্তের হাওয়া, অপরূপ সৌন্দর্য্যে আনন্দ উল্লাসে তাই হারিয়ে যাওয়া। বাগানে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া,দোপাটি  কি অপরূপ লাগছে!! কোকিল ডাকে কুহুসুরে হৃদয়ে খুশির হাওয়া বইছে। প্রকৃতি সাজলো অপরূপ সাজে রাখাল বাজায় বাঁশি, বাঁশির সুরে যেন মন হারায় মুগ্ধতায় হয় উদাসি। পাখিদের কলকাকলীতে মুখরিত বাংলার চারিদিক, নানান রকম ফুলের শোভায় যেন প্রকৃতি ঝিকমিক। বসন্তের আবেশে মন হয় সতেজ বাংলা হয় …

মা আমার আধার ঘরের ছড়ানো আলোর বাতি, হাসিতে যে তাঁর স্বর্গসুখ হৃদয়ে রাখি গাঁথি। মা আমার চোখের মণি সুখের নেয়া শ্বাস, প্রাণ ভরা নরম ছোঁয়ার অন্তরে করে বাস। মা আমার এক পৃথিবী ভরসা রাখার ঠাঁই, আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখুন এটাই আমি চাই। ( ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার )

শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ওই কোকিল ঠোঁটে বসন্ত গান যেন ফুটে খই। আমের মুকুল সুভাষ ছড়ায় ওই উঠনের ধার মৌমাছিরা খেলায় খেলায় দিন যে করে পার। ফাগুন হাওয়া লাগল যে ওই ছোট্ট খুকির গায় হলদে শাড়ি, মাথায় যে ফুল নুপুর দিলো পায়। ভরদুপুরে বাঁশির সুরে রাখাল ধরে গান ঋতুরাজের এমন দিনে জুড়িয়ে যায় প্রাণ। ( ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার …

মন ছুটে যায় তেপান্তরে বন্য ফুলের কাছে, মন ছুটে যায় নদীন্তরে জলের ছোট মাছে। মন ছুটে যায় দেশান্তরে ভিন্ন কোনো দেশে, মন ছুটে যায় রূপান্তরে পরির নব বেশে। মন ছুটে যায় কাশের বনে সাদা ফুলের ধারে, মন ছুটে যায় জুঁই চ্যামেলি ফুলের মালার হাড়ে। ( ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শনিবার )