Breaking News

Alipurduar: উন্নত প্রযুক্তির যুগেও পাহাড়ি ঝোড়ার জল পান করে চলেছেন ফাঁসখাওয়ার বাসিন্দারা

রিপোর্ট : সুকুমার রঞ্জন সরকার , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার

Alipurduar: উন্নত প্রযুক্তির যুগেও পাহাড়ি ঝোড়ার জল পান করে চলেছেন ফাঁসখাওয়ার বাসিন্দারা
পাইপ হাতে জলের খোঁজ

উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে চলেছে দেশ কিন্তু সেই প্রযুক্তির সুফল থেকে বঞ্চিত আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ফাঁসখাওয়া চা বাগান এলাকার প্রায় চার হাজার বাসিন্দা। আজও তাদের পান করতে হয় পাহাড়ি ঝোড়ার ডলোমাইট মিশ্রিত অশুদ্ধ জল। এলাকাবাসীর ভরসা ফাঁসখাওয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ করা পাহাড়ি ঝোড়ার জল। বাসিন্দারা জানান পাশের পাহাড়ের ওপরে একটি ঝোড়া বা প্রাকৃতিক জলাধার রয়েছে, সেখান থেকেই পাইপ দিয়ে জল নিয়ে আসা হয় সরবরাহের জন্য। এই পাইপ লাইনেই জল সরবরাহ করা হয় চা বাগান এবং লাগোয়া এলাকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা হাতির হানায় যদি পাইপ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে বাসিন্দাদের থাকতে হয় নির্জলা। যতক্ষন পর্যন্ত চা বাগান কর্তৃপক্ষ পাইপ লাইন সারাই না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত জল আসার সম্ভাবনা নেই। প্রাকৃতিক জলাধারের জলে মিশে থাকে ডলোমাইট এবং গাছের পচা পাতা। বাসিন্দারা জানান এই জল পান করে পেটের অসুখ সহ জলবাহিত নানা রোগ ব্যাধিতে বারোমাস ভুগতে হয় তাদের।Alipurduar: উন্নত প্রযুক্তির যুগেও পাহাড়ি ঝোড়ার জল পান করে চলেছেন ফাঁসখাওয়ার বাসিন্দারা তাদের আরও অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সমস্যার সমাধানে তারা জেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে আসছেন কিন্তু তাদের দাবি আজও পূরন হয়নি। তুরতুরি খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দ্রমা সিং জানান এলাকার পানীয় জল সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা পরিষদ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার দাবী জানানো হয়েছে কারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক সামর্থ্যে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর দুবার গভীর নলকূপ বাসনোর জন্য প্রায় তিনশত ফুট খনন করেও জলস্তর না পেয়ে চলে যায় এবং জানায় এখানে আরও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োজন। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার জানান ফাঁসখাওয়া এলাকার পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে কিন্তু আপাততঃ প্রয়োজনীয় তহবিল না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।