Breaking News

Alipurduar: হাতির পালের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত জমির ধান গরুকে খাওয়াচ্ছেন কৃষকরা

রিপোর্ট : সুকুমার রঞ্জন সরকার , এই যুগ, আলিপুরদুয়ার

Alipurduar: হাতির পালের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত জমির ধান গরুকে খাওয়াচ্ছেন কৃষকরা সন্ধ্যা হলেই জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসে বুনো হাতির পাল, হামলা চালায় আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশা বিটের লাগোয়া আমন ধানের ক্ষেতে। কখনো একটা আবার কখনো বেশ কয়েকটা হাতি লাগাতার হানাদারি চালাচ্ছে বিঘার পর বিঘা ধান ক্ষেতে। সবে ধানের ফুল এসেছে আর সেই ধান গাছ চলে যাচ্ছে বুনোদের পেটে। পায়ে মাড়িয়ে ধান গাছ শুইয়ে দিছে মাটিতে। রাতের পর রাত পাহারা দিয়েও জঙ্গল লাগোয়া বারোবিশা, রাধানগর, পূর্ব শালবাড়ি, ভল্কা প্রভৃতি গ্রামের কৃষকরা রক্ষা করতে পারছেননা জমিতে রোপণ করা ধান। কৃষকরা জানান বন দপ্তরে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছেনা। দিনের পর দিন বুনো হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ বন দপ্তর বুনো হাতির হানাদারি রুখতে তৎপর নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের আরও অভিযোগ ক্ষতিপূরনের আবেদন করলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পাওয়া যায়না। আবার বন দপ্তর ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা দেয় তা খুব সামান্য। তারা বলেন এখন বাধ্য হয়েই তারা হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত জমির ধান গরুকে খাওয়াচ্ছেন কারন যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও থাকবেনা বা সেগুলো কেটে ঘরে নিয়ে যেতে যে খরচ হবে সেই টাকাও প্রাপ্ত ধান থেকে মিলবেনা। রাধানগর গ্রামের কৃষক ধীরেন মিঞ্জ, বারোবিশা গ্রামের লক্ষী মিঞ্জ সহ আরও অনেকে জানান তাদের কেউ কুড়ি বিঘা আবার কেউ দশ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন কিন্তু বুনো হাতির হানাদারিতে সব শেষ। এখন অবশিষ্ট জমির ধান তারা গরুকে খাওয়াচ্ছেন। বন দপ্তর তো তাদের সারা বছরের খাবারের টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেবেনা। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় নজরদারি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কৃষকরা নিয়ম মেনে আবেদন জানালে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।